তেতুলিয়ায় অপহরণ ও ধ’র্ষণ মামলার আসামি আটক

- আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০৬ বার পড়া হয়েছে
তেতুলিয়ায় অপহরণ ও ধ’র্ষণ মামলার আসামি আটক
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ।
তবে এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসার ছাত্রীর নানী বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকায় তার বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। জানা গেছে,আটক জামাল উদ্দিন একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ৫ আগষ্টের পর জামাল উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। তিনি ঠুনঠুনিয়া মসজিদের ক্যাশিয়ার ছিলেন। ঘটনার পর মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাঁকে বহিস্কার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করেন। স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় লেখা পড়া করা করতো সে। এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগীর মাংস আনতে যায়। এসময় জামাল উদ্দিন বাড়ীতে লোকজন না থাকায় ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে খারাপ প্রস্তাব দেন তিনি। এতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দীর্ঘ বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন জামাল উদ্দিন এবং একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে বিচার শালিসও হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মিমাংসার আশ্বাসে পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানী মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঠুনঠুনিয়া এলাকার সমিজ উদ্দিন জানান, জামাল জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে সম্ভবত দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তেঁতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুসা মিয়া জানান, আটকৃত আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।