ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীনগরে রেলগেটের যানজট নিরসনে আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন মান্দায় বাড়ির আঙিনা থেকে ছয়টি গাঁজার গাছ উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিকে দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত চারঘাটে রঙ মেশানো ১২ টন মুগডাল জব্দ, দুই মিল মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্কুট খাওয়ার পরপরই অসুস্থ কুমারপুর বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী! বাগাতিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার- রহস্য আত্মহত্যা নাকি হত্যা? শেরপুরে প্রণোদনার ভাগ না পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পে’টালেন ছাত্রদল নেতা! নাটোরের বড়াইগ্রামে আদিবাসী হত্যা দিবস পালিত রাণীনগরে ধানক্ষেত থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হ/ত্যা পঞ্চগড়ে ৭ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ শুরু

২৩ বছর কারাভোগ করা মাজেতকে গরু দিলেন জেলা প্রশাসন

মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, বিশেষ প্রতিনিধি, পঞ্চগড়ঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২৩ বছর কারাভোগ করা মাজেতকে গরু দিলেন জেলা প্রশাসন

মাজেতের সাজা হয়েছিল ৩০ বছর। কিন্তু ভালো ব্যবহার ও ভালো কাজের জন্য ২৩ বছরেই মুক্তি মিলে তার। গত ২৬ মার্চ দীর্ঘ কারাভোগ শেষে বের হন তিনি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গেছে অনেক কিছু। তার সংসারে এখন কেউ নেই। আছে কেবল অভাব অনটন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাধইপাড়া এলাকায় বাড়ি মাজেতের। তিনি ওই এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলায় তার সাজা হয়েছিল ২০০২ সালে। দুই বছর পর স্ত্রী সালেহা বেগম তার সংসার ছেড়ে অন্যত্র সংসার পাতেন। বাড়িতে নেই কোন জমি জায়গা। সংসারে ছিলো মা ফুলবানু বেগম। তিনিও ১৬ দিন আগে মারা গেছেন। খুব একা হয়ে পড়েন মাজেত। চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করে কোন মতে জীবন যাপন করছিলেন তিনি। তবে অভাব অনটে আবারো দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। মাজেতের অসহায়ত্বের কথা শুনে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী তাকে সাবলম্বী করতে একটি গরু কিনে দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তার হাতে গরুটি তুলে দেন তিনি। গরু পেয়ে খুশি মাজেত।

আব্দুল মাজেত বলেন, আমি মিথ্যে মামলায় ২৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছি। এ বছর আমাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন আমার পরিবারে কেউ নেই। মা ছিলো কয়েকদিন আগে তিনিও মারা গেছেন। আমি এখন চা বাগানে কাজ করি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। আমার খুব উপকার হলো।

জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছে। ভালো আচরণ ও ভালো কাজের জন্য তাকে এবার মুক্তি দেয়া হয়েছে। সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। তাকে সাবলম্বী করতেই আমরা একটি গরু কিনে দিয়েছি। আশা করি সে এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২৩ বছর কারাভোগ করা মাজেতকে গরু দিলেন জেলা প্রশাসন

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

২৩ বছর কারাভোগ করা মাজেতকে গরু দিলেন জেলা প্রশাসন

মাজেতের সাজা হয়েছিল ৩০ বছর। কিন্তু ভালো ব্যবহার ও ভালো কাজের জন্য ২৩ বছরেই মুক্তি মিলে তার। গত ২৬ মার্চ দীর্ঘ কারাভোগ শেষে বের হন তিনি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গেছে অনেক কিছু। তার সংসারে এখন কেউ নেই। আছে কেবল অভাব অনটন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাধইপাড়া এলাকায় বাড়ি মাজেতের। তিনি ওই এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলায় তার সাজা হয়েছিল ২০০২ সালে। দুই বছর পর স্ত্রী সালেহা বেগম তার সংসার ছেড়ে অন্যত্র সংসার পাতেন। বাড়িতে নেই কোন জমি জায়গা। সংসারে ছিলো মা ফুলবানু বেগম। তিনিও ১৬ দিন আগে মারা গেছেন। খুব একা হয়ে পড়েন মাজেত। চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করে কোন মতে জীবন যাপন করছিলেন তিনি। তবে অভাব অনটে আবারো দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। মাজেতের অসহায়ত্বের কথা শুনে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী তাকে সাবলম্বী করতে একটি গরু কিনে দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তার হাতে গরুটি তুলে দেন তিনি। গরু পেয়ে খুশি মাজেত।

আব্দুল মাজেত বলেন, আমি মিথ্যে মামলায় ২৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছি। এ বছর আমাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন আমার পরিবারে কেউ নেই। মা ছিলো কয়েকদিন আগে তিনিও মারা গেছেন। আমি এখন চা বাগানে কাজ করি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। আমার খুব উপকার হলো।

জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছে। ভালো আচরণ ও ভালো কাজের জন্য তাকে এবার মুক্তি দেয়া হয়েছে। সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। তাকে সাবলম্বী করতেই আমরা একটি গরু কিনে দিয়েছি। আশা করি সে এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে পারবে।