ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ বছরের প্রেমের টানে গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী

নাটোর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৪ বছরের প্রেমের টানে গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী

দীর্ঘ ১৪ বছর বাংলাদেশী যুবকের সাথে চলা প্রেমের ইতি টেনেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনা (৩২)। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিটি হাসনা তার মাকে সাথে নিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর গ্রামে প্রেমিক আনিছ রহমানের (৪২) বাড়িতে আসেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) নাটোর আদালতের মাধ্যমে দুজনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর আনিছ রহমান খুবজীপুর গ্রামের জলিল রহমানের ছেলে। সিটি হাসনা মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরি’র মেয়ে। আনিছ রহমান বলেন, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে তার সাথে মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।

আনিছের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতার কারণে মালয়েশিয়ান তরুনী সিটি হাসনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশি যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়া তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে প্রেমিক আনিছ রহমানের বাড়িতে আসেন। তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তার মা। আজ রোববার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় এডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন তাদের বিয়ের আইনগত কাজ সম্পন্ন করেন। বিয়ের সময় সিটি হাসনার মা ও আনিছ রহমানের বাবা জলিল রহমান সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন ,রোববার দুপুরে নাটোর আদালত চত্ত্বরে রিয়াজুল ইসলাম কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যেকার দীর্ঘ প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটে।

আনিছের ছোট ভাই হক বলেন, আমার ভাই আনিছ মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় পরিবারের সবাই আনন্দিত ও খুশী হয়েছেন। তারা যেন সুখে থাকেন এজন্য সবাই দোয়া করবেন।

প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। আজ পারিবারিক ভাবে আমাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া। আমরা দুজনে অনেক আনন্দিত, দীর্ঘ অনেক সময়ের পর আমাদের প্রেম স্বার্থক হয়েছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মুচকি হেসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। রোববার দুপুরে নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১৪ বছরের প্রেমের টানে গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী

আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

১৪ বছরের প্রেমের টানে গুরুদাসপুরে এসেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী

দীর্ঘ ১৪ বছর বাংলাদেশী যুবকের সাথে চলা প্রেমের ইতি টেনেছেন মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনা (৩২)। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিটি হাসনা তার মাকে সাথে নিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর গ্রামে প্রেমিক আনিছ রহমানের (৪২) বাড়িতে আসেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) নাটোর আদালতের মাধ্যমে দুজনার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর আনিছ রহমান খুবজীপুর গ্রামের জলিল রহমানের ছেলে। সিটি হাসনা মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরি’র মেয়ে। আনিছ রহমান বলেন, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে তার সাথে মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।

আনিছের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতার কারণে মালয়েশিয়ান তরুনী সিটি হাসনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশি যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়া তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর গ্রামে প্রেমিক আনিছ রহমানের বাড়িতে আসেন। তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তার মা। আজ রোববার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় এডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন তাদের বিয়ের আইনগত কাজ সম্পন্ন করেন। বিয়ের সময় সিটি হাসনার মা ও আনিছ রহমানের বাবা জলিল রহমান সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন ,রোববার দুপুরে নাটোর আদালত চত্ত্বরে রিয়াজুল ইসলাম কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যেকার দীর্ঘ প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটে।

আনিছের ছোট ভাই হক বলেন, আমার ভাই আনিছ মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় পরিবারের সবাই আনন্দিত ও খুশী হয়েছেন। তারা যেন সুখে থাকেন এজন্য সবাই দোয়া করবেন।

প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। আজ পারিবারিক ভাবে আমাদের দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আল্লাহপাকের কাছে শুকরিয়া। আমরা দুজনে অনেক আনন্দিত, দীর্ঘ অনেক সময়ের পর আমাদের প্রেম স্বার্থক হয়েছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মুচকি হেসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। রোববার দুপুরে নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।