স্বৈ-রা-চা-রী সরকার পতনের অবদান কোন দলের নয়, সকল অবদান ছাত্রদের-বিএনপি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির খন্ডিত দুই গ্রুপের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী শাসকের পতনের সকল অবদান ছাত্রদের, নিদিষ্ট কোন দলের অবদান নয়। তাই আসুন সবাই সকল ছাত্রদের কৃতিত্ব স্বীকার করে তাদের জন্য দোয়া করি। আর তাদের একাত্মতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের মধ্যেকার ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে এসে কাঁধে কাঁধ রেখে বিজয় মিছিল করি। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে মালঞ্চি বাজারস্থ রেলগেট এলাকায় স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন উপলক্ষে শান্তি সমাবেশ এসব কথা বলেন তারা। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগামীতে দেশ ও দশের জন্য ভালো কাজ করার দীপ্ত শপথ নেন নেতারা।

কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে বাগাতিপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (সাবেক পৌর মেয়র) মোশাররফ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিনের নেতৃত্বে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক নেকবর হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাগাতিপাড়া পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনসার আলী সরকার, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম সরকার প্রমূখ।
এ সময় ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন, বিএনপির স্পেশাল এসিস্টেন্ট টু দা চেয়ার পারসনস ফরেন এফেয়ার্স এডভাইসরি, মানবাধিকার কমিটি ও মিডিয়া সেল বিএনপি’র সদস্য আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল। এ সময় তিনি বলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আওয়ামীলীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টি সবাই দেশের নাগরিক। এই নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। দেশে কোন সংখ্যালঘু নেই, সবাই দেশের নাগরিক, সবাই বাংলাদেশি। তাদের উপর হামলা বিএনপি বরদাস্ত করবে না। কোনো হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা থাকলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের সেখানে পাহারায় থাকতে হবে। বক্তব্যের শেষে লালপুর-বাগাতিপাড়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।

সমাবেশে উপস্থিত সকল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজী এবং জবরদখল হয়েছে তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এজন্য সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সংগ্রাম ছিল মুক্তির ও স্বৈরাচার নিপাতের। আমরা এখন তা পেয়েছি। নতুন এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।