ঢাকা ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়া থেকে ১১ বছরের শিশু শিমুল নিখোঁজ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃ শং স হ/ত্যা র প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের জনসংযোগ পঞ্চগড়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দিলু কারাগারে বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় দুই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা; ১ জনের মৃত্যু পঞ্চগড়ে তিনদিন ব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু পঞ্চগড়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনীর অভিযান মালিককে জরিমানা ঝিনাইগাতীতে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে পিকআপভর্তি ২৬০ বোতল বিদেশী মদ জব্দ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযান: একজনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড

স্বামীর খোঁজে ভারতীয় নারী এসেছেন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৩৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে ভারতীয় নারী এসেছেন স্বামীর খোঁজে

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বামীর খোঁজে ভারতীয় নারী এসেছেন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ভারতের রিয়া বালা (৩২) নামের এক নারীর। রিয়া বালা ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে।

জানা গেছে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রিয়া বালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রায় এক মাস ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিটু। এরপর দেশে ফিরে স্ত্রী রিয়া বালার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। তাই ভারত থেকে এসে ভিসা-পাসপোর্টের ঠিকানা অনুযায়ী স্বামীর বাড়িও খুঁজে পান। কিন্তু তিন দিনেও স্বামীর দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেন রিয়া বালা।

বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্বামীর খোঁজে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা। ঠিকানা অনুযায়ী বিটুর বাড়িতে যান। কিন্তু তার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। তিনদিন ধরে স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তেঁতুলিয়া মডেল থানার নারী ও শিশু সেলে তার থাকার ব্যবস্থা করেন। বিটুর বাবা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, এসব ঘটনায় আমরা কিছুই জানিনা। ছেলে ফিরে আসলে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার , ফজলে রাব্বি বলেন, নিরাপত্তা চেয়ে ভারতীয় ওই নারী ফোন কররেছিলেন। পরে তিনি ফিরে যেতে সম্মত হলে শনিবার দুপুরের দিকে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তাকে ভারতে তার বোনের কাছে পাঠানো হয়। সবশেষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরে যেতে হয় ওই নারীকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বামীর খোঁজে ভারতীয় নারী এসেছেন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে

আপডেট সময় : ০৪:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বামীর খোঁজে ভারতীয় নারী এসেছেন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে

উমর ফারুক, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ভারতের রিয়া বালা (৩২) নামের এক নারীর। রিয়া বালা ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে।

জানা গেছে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রিয়া বালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রায় এক মাস ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিটু। এরপর দেশে ফিরে স্ত্রী রিয়া বালার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। তাই ভারত থেকে এসে ভিসা-পাসপোর্টের ঠিকানা অনুযায়ী স্বামীর বাড়িও খুঁজে পান। কিন্তু তিন দিনেও স্বামীর দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেন রিয়া বালা।

বিভিন্ন মহল থেকে জানা গেছে, বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্বামীর খোঁজে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা। ঠিকানা অনুযায়ী বিটুর বাড়িতে যান। কিন্তু তার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। তিনদিন ধরে স্বামীর কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) তিনি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তেঁতুলিয়া মডেল থানার নারী ও শিশু সেলে তার থাকার ব্যবস্থা করেন। বিটুর বাবা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, এসব ঘটনায় আমরা কিছুই জানিনা। ছেলে ফিরে আসলে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার , ফজলে রাব্বি বলেন, নিরাপত্তা চেয়ে ভারতীয় ওই নারী ফোন কররেছিলেন। পরে তিনি ফিরে যেতে সম্মত হলে শনিবার দুপুরের দিকে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তাকে ভারতে তার বোনের কাছে পাঠানো হয়। সবশেষে শনিবার (২ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে ফিরে যেতে হয় ওই নারীকে।