স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজশাহীর জীবনযাত্রা
- আপডেট সময় : ০১:০৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজশাহীর জীবনযাত্রা
সারাদেশের মত রাজশাহীতে একটানা তিনদিন নানা আতঙ্ক বিরাজের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নাগরিক জীবনযাত্রা। এখনো রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল শুরু না হলেও ট্রাক-বাস, সিএনজিচালিত রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্বল্প পরিসরে ছাড়ছে দূর পাল্লার বাস। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খোলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংক, বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
সকাল থেকেই নিয়মিত লেনদেন শুরু করেছে ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ভাঙচুর ও লুটপাট হওয়ায় কয়েকটি ব্যাংকের বুথ এবং অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে। তাই এখনো সেসব ব্যাংকের এটিএম বুথ চালু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বুধবার থেকে ১ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে না পারায় অনেকেই বড় ধরনের লেনদেন নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়েন। এদিকে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে না ফেরায় সারাদেশের মতো নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও। এর পরও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠেতে শুরু করেছে নাগরিক জীবনযাত্রা।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন সর্বাত্মক সফলের পর এখন দেশ ও রাষ্ট্র সংস্কারে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে রাজপথে রয়েছেন বিশাল ছাত্রজনতা।
ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে রাজশাহীর শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার করছেন। নিয়মিতভাবে সামলাচ্ছেন ট্রাফিক ব্যবস্থা। কোনো সড়কেই যানবাহন চলাচলে কোনো গোলযোগ নেই। এক অন্যরকম বাংলাদেশ উপহার পেয়ে সাধারণ মানুষও দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছেন। উজ্জীবিত এ বিশাল ছাত্রজনতার পাশাপাশি রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের রোভার স্কাউট, বয়েজ স্কাউট, গার্লস গাইড, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, হেলপ পিপল ও ইয়াস গ্রুপের তরুণ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদেরকেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব কাজে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে গ্রুপ ভিত্তিক রাত জেগে বরেন্দ্র জাদুঘর, হাইটেক পার্ক, নগর ভবন, কেন্দ্রীয় উদ্যানসহ বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা দিচ্ছেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নগর ভবন, ও মেয়রের বাসভবন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার, নগরীর সব থানা, হাইটেক পার্কে থাকা স্টার সিনেপ্লেক্সসহ বেশ কিছু সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে সারাদেশের মত পুরো রাজশাহীতে।