সিংড়ায় ২০ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের চাল, উপড়ে গেছে গাছ!
- আপডেট সময় : ১১:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪ ১৭১ বার পড়া হয়েছে
সিংড়ায় ২০ মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের চাল, উপড়ে গেছে গাছ!
নাটোর প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ২০ মিনিট স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ে ছয় শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে গাছপালা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এসব এলাকা। বুধবার (৫ জুন) রাত ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলে এ ঝড়। এদিকে ইতোমধ্যে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ইউএনও অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে সিংড়া উপজেলার মোট ৬৭১টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরমধ্যে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নে ২০২টি, চামারি ইউনিয়নে ৯৭টি, কলম ইউনিয়নে ২৯৮ টি এবং শেরকোল ইউনিয়নে ৭৪টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও ভেঙ্গে গেছে। ঘরের চাল উড়ে গেছে। সারারাত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল এসব এলাকা। এছাড়া চামারি ইউনিয়নে সাদিয়া খাতুন(১৭) নামে একজন আহত হয়েছেন।
এদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেছেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভ’ঁঞা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরী করে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে আহত সাদিয়াকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৮হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সিংড়া পৌরসভার সোহাগবাড়ি এলাকার মাধব চন্দ্র দাস জানান, গত রাতের ঝড়ে আমার ঘরের চাল উড়ে গেছে। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
উপজেলার কলম গ্রামের মাসুদ রানা জানান, গত রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে আমার মুরগির খামারের চাল উড়ে গেছে। আমার একমাত্র সম্বল হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব প্রায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা করে তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আপাতত উপজেলা থেকে ৮ মেট্রিক টন বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে আরো ২০ মেট্রিক টন চাল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে। অপরদিকে ঝড়ে আহত একজনকে নগদ ৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।