সিংড়ায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ৩ বছর পর অভিযোগ, এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ আদালতের
- আপডেট সময় : ০১:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
সিংড়ায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ৩ বছর পর অভিযোগ, এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ আদালতের
নাটোরের সিংড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের ৩ বছর পর থানা পুলিশকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন আলী এই নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া মামলাটি দ্রুত নিয়মিত মামলা হিসেবে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট তানজীল সিদ্দিক তমাল। ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির (৮০) জেলার সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামের মৃত মাফের ফকিরের ছেলে। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামী একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে হিরুক সরকার(৩৫)। অভিযুক্তরা স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০২১ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামে হিরুক সরকার ও সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবুল ফকিরের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় অভিযুক্তরা তার বসবাসের টিনের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়া সেসময় আবুল হোসেন ও তার প্রতিবেশীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ অর্থ লুটপাট করা হয়। ভুক্তভোগী দাবি করেন, প্রতিপক্ষের হামলায় তারা মোট ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন সিংড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সেসময় তিনি কোন প্রতিকার পাননি। এছাড়া থানায় অভিযোগ দেওয়ায় পুনরায় প্রতিপক্ষের লোকজন আবুল হোসেনকে প্রাণনাশসহ নানা ভয়ভীতি দেখায়। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরে গত মঙ্গলবার আদালতে স্বরণাপন্ন হন ভুক্তভোগী আবুল হোসেন। ভুক্তভোগীর করা মামলায় ২৪জন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ওইদিনই থানা পুলিশকে মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে নিতে নির্দেশ প্রদান করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন আলী।
ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ও প্রতিবেশীর ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আমরা প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হই। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাইনি। অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সর্বশেষ ন্যায় বিচার পেতে আদালতের দারস্থ হয়েছি। আমি ন্যয় বিচার চাই।
মামলার অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদেরর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট তানজীল সিদ্দিক তমাল জানান, বাড়ী-ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও প্রতিকার পাননি। পরে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে আদালত বাদীর বক্তব্য শ্রবণ ও ঘটনার সময় করা ভিডিও ফুটেজ দেখেন। আদালত এই ঘটনায় অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।