ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগমারায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিতে মরিয়া জেএমবি ক্যাডাররা মান্দায় স্ত্রীকে পি/টি/য়ে হ-ত্যা, স্বামী পলাতক  রায়পুরায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল মহাপরিচালকের পদত্যাগ ও সব পদে নার্সদের পদায়নের দাবিতে বাগাতিপাড়ায় মানববন্ধন ছাত্র আন্দোলনে ২ হাতে ২ পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করে যুবলীগ নেতা রুবেল আলমগীর হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা সাতক্ষীরার তালায় ৩৩ বিঘা জলমহাল বেদখল, ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটে বিশ্বাসী নয় জামায়াত-অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনঃ রাজশাহী কলেজে নিয়োগ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি নতুন অধ্যক্ষ

সাবেক এমপি বকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; সম্পদের তদন্ত করছে দুদক

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতাঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

collected photo

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক এমপি বকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; সম্পদের তদন্ত করছে দুদক

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শুরুর পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগের সাবেক এই সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিশেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শহিদুল ইসলাম বকুল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনে পুনঃরায় আ’লীগ মনোনিত দলীয় প্রার্থী হলেও নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এমপি থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় থাকা ৫ বছরে গড়ে তুলেন বিপুল সম্পদের পাহাড়। অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় বকুলের সম্পদ।

২০১৮ ও ২০২৩ সালের নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে শহিদুল ইসলাম বকুলের সম্পদ ছিল ৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকার। ২০২৩ সালে প্রায় ২৪ গুণ বেড়ে সম্পদের পরিমান দাড়ায় ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় শহিদুল ইসলাম বকুলের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয় ১ কোটি ৭ লাখ ৫৪৮ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে কোনো আয় না থাকলেও ২০২৩ সালে স্ত্রীর নামে আয় দেখানো হয় ১০ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকা। অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি এমপি হয়ে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি হার্ড জিপ গাড়ির মালিক হন শহিদুল ইসলাম বকুল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) শহিদুল ইসলাম বকুলসহ সংসদ সদস্য প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর গবেষনার ওপর ভিত্তি করে ১৮ আগস্ট (রোববার) শহিদুল ইসলাম বকুলসহ আওয়ামীলীগের ৪১ এমপি-মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন। ১৯ আগস্ট (সোমবার) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিশন সভায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত শুরুর পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল ইসলাম বকুলসহ আওয়ামীলীগের ৮ সাবেক এমপি ও ১৮ মন্ত্রীর দেশত্যাগে নিশেধাজ্ঞা দেন বিজ্ঞ আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক এমপি বকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; সম্পদের তদন্ত করছে দুদক

আপডেট সময় : ০৫:২১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক এমপি বকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা; সম্পদের তদন্ত করছে দুদক

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শুরুর পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগের সাবেক এই সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিশেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শহিদুল ইসলাম বকুল। ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনে পুনঃরায় আ’লীগ মনোনিত দলীয় প্রার্থী হলেও নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এমপি থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় থাকা ৫ বছরে গড়ে তুলেন বিপুল সম্পদের পাহাড়। অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায় বকুলের সম্পদ।

২০১৮ ও ২০২৩ সালের নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে শহিদুল ইসলাম বকুলের সম্পদ ছিল ৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকার। ২০২৩ সালে প্রায় ২৪ গুণ বেড়ে সম্পদের পরিমান দাড়ায় ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৬ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় শহিদুল ইসলাম বকুলের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয় ১ কোটি ৭ লাখ ৫৪৮ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে কোনো আয় না থাকলেও ২০২৩ সালে স্ত্রীর নামে আয় দেখানো হয় ১০ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকা। অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি এমপি হয়ে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি হার্ড জিপ গাড়ির মালিক হন শহিদুল ইসলাম বকুল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) শহিদুল ইসলাম বকুলসহ সংসদ সদস্য প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর গবেষনার ওপর ভিত্তি করে ১৮ আগস্ট (রোববার) শহিদুল ইসলাম বকুলসহ আওয়ামীলীগের ৪১ এমপি-মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন। ১৯ আগস্ট (সোমবার) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিশন সভায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত শুরুর পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল ইসলাম বকুলসহ আওয়ামীলীগের ৮ সাবেক এমপি ও ১৮ মন্ত্রীর দেশত্যাগে নিশেধাজ্ঞা দেন বিজ্ঞ আদালত।