ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

সাপাহারে বিলে বন্যায় ভেসে এলো কচুরিপানা, চাষাবাদ নিয়ে সংকটে কৃষক

আলমগীর হোসেন, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

Collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাপাহারে বিলে বন্যায় ভেসে এলো কচুরিপানা, চাষাবাদ নিয়ে সংকটে কৃষক

পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে কয়েক দফা বন্যায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবাই বিলের উত্তরের তাঁরাচাঁদ খাড়িতে জমেছে কচুরিপানা। যে কারণে কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। পানি শুকিয়ে যাওয়া শুরু নওগাঁর সাপাহার উপজেলার তাঁরাচাঁদ খাড়ি ( মহিষ ডাঙ্গা) বিলের কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। কয়েক দফা বন্যায় বিলজুড়ে জমেছে কচুরিপানা। সেগুলো সরিয়ে জমিকে চাষযোগ্য করে তোলাই বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না কৃষিশ্রমিক।

মহিষ ডাঙ্গা বিলের পাশে বাখরপুর গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরে কয়েক দফা বন্যায় বিলের জমি প্রায় ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত ছিল। ফলে চাষ করা নিয়ে সংকটে পড়তে হচ্ছে। স্রোতের সঙ্গে ভেসে এসেছে কচুরিপানা। এখন বোরোধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কচুরিপানা জমে থাকায় বোরোধানের বীজতলা করা যাচ্ছে না। শ্রমিক নিয়ে পাঁচ বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন।

Collected

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বিলের জমিতে এমনিতেই বছরে একবারের বেশি ফসল হয় না। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে এ বছর কৃষকরা মহাসংকটে পড়েছে। বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। টাকা দিয়েও কচুরিপানা সরানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সময় মতো ধান চাষ করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।উপজেলা স্থানীয় বিলের কৃষকগণ বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতার কারণে বিলের জমি কচুরিপানায় ভরে গেছে। মাছ ধরতে বিলের সঙ্গে সংযুক্ত মহিষ ডাঙ্গা বিলে বাঁশের ঘেরাও (বানা ) ও বীমে কচুরিপানা আটকে যাওয়া একমাত্র কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বন্যার পানি নেমে গেলেও কচুরিপানা থেকে গেছে। কচুরিপানাগুলো সরিয়ে ফেললে চাষ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য কচুরিপানাগুলো অপসারণের জন্য সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি আবেদন করেছেন বিলের সকল কৃষকগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে বিলে বন্যায় ভেসে এলো কচুরিপানা, চাষাবাদ নিয়ে সংকটে কৃষক

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাপাহারে বিলে বন্যায় ভেসে এলো কচুরিপানা, চাষাবাদ নিয়ে সংকটে কৃষক

পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে কয়েক দফা বন্যায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবাই বিলের উত্তরের তাঁরাচাঁদ খাড়িতে জমেছে কচুরিপানা। যে কারণে কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। পানি শুকিয়ে যাওয়া শুরু নওগাঁর সাপাহার উপজেলার তাঁরাচাঁদ খাড়ি ( মহিষ ডাঙ্গা) বিলের কৃষকরা চাষাবাদ শুরু করতে পারছেন না। কয়েক দফা বন্যায় বিলজুড়ে জমেছে কচুরিপানা। সেগুলো সরিয়ে জমিকে চাষযোগ্য করে তোলাই বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না কৃষিশ্রমিক।

মহিষ ডাঙ্গা বিলের পাশে বাখরপুর গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরে কয়েক দফা বন্যায় বিলের জমি প্রায় ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত ছিল। ফলে চাষ করা নিয়ে সংকটে পড়তে হচ্ছে। স্রোতের সঙ্গে ভেসে এসেছে কচুরিপানা। এখন বোরোধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কচুরিপানা জমে থাকায় বোরোধানের বীজতলা করা যাচ্ছে না। শ্রমিক নিয়ে পাঁচ বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন।

Collected

একই গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বিলের জমিতে এমনিতেই বছরে একবারের বেশি ফসল হয় না। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে এ বছর কৃষকরা মহাসংকটে পড়েছে। বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। টাকা দিয়েও কচুরিপানা সরানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সময় মতো ধান চাষ করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।উপজেলা স্থানীয় বিলের কৃষকগণ বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতার কারণে বিলের জমি কচুরিপানায় ভরে গেছে। মাছ ধরতে বিলের সঙ্গে সংযুক্ত মহিষ ডাঙ্গা বিলে বাঁশের ঘেরাও (বানা ) ও বীমে কচুরিপানা আটকে যাওয়া একমাত্র কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বন্যার পানি নেমে গেলেও কচুরিপানা থেকে গেছে। কচুরিপানাগুলো সরিয়ে ফেললে চাষ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য কচুরিপানাগুলো অপসারণের জন্য সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গণস্বাক্ষরিত একটি আবেদন করেছেন বিলের সকল কৃষকগণ।