ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগাতিপাড়ায় খামার দিবসে আখচাষে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে গুরুত্বারোপ বাগাতিপাড়া থেকে ১১ বছরের শিশু শিমুল নিখোঁজ ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃ শং স হ/ত্যা র প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পঞ্চগড়ে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের জনসংযোগ পঞ্চগড়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দিলু কারাগারে বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় দুই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা; ১ জনের মৃত্যু পঞ্চগড়ে তিনদিন ব্যাপী অভিনয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু পঞ্চগড়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেনাবাহিনীর অভিযান মালিককে জরিমানা ঝিনাইগাতীতে সেনা সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ীতে পিকআপভর্তি ২৬০ বোতল বিদেশী মদ জব্দ

শ্রীবরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই,ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ১০১ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শ্রীবরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই,ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচরের দক্ষিণ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সোমবার (৩০ জুন) ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মালিকরা হলেন, মেসার্স মুরাদ স্টোরের মো. মুরাদুজ্জামান,মেসার্স অনু এন্টারপ্রাইজের শ্রী চৈতন্য মোদক ও শিহাব স্টোরের মনিরুজ্জামান। এছাড়া আরও দুটি দোকানেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে শ্রীবরদী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়ার পরেও দেরিতে পৌঁছার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরবেলায় স্থানীয়রা আগুনের খবর টের পেলেও ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মালামাল বের করারও কোনো সুযোগ ছিলনা। শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে পৌঁছায় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।জামালপুরের বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মুরাদুজ্জামান বলেন, আমার দোকান ও দুইটি গোডাউনের সমস্ত মালপত্র পুড়ে গেছে। প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব হারিয়ে এখন পথে বসেছি।
ব্যবসায়ী শ্রী চৈতন্য মোদক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে আমার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি শেষ হয়ে গেল। অন্তত ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার পরিবারের জীবিকা বন্ধ হয়ে গেল।ক্ষতিগ্রস্ত অপর ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন,আমার দোকানের মালামালসহ প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব।

স্থানীয় এক বাসিন্দা আব্দুল জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শ্রীবরদী থেকে ঝগড়ারচর পর্যন্ত রাস্তা পুরো পাকা ও প্রসস্থ। গাড়ি দ্রুত পৌঁছাতে পারার কথা, কিন্তু কেন তাদের আসতে দেরি হলো বুঝতে পারলাম না। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস আসলে ক্ষয়ক্ষতি এতটা হতো না।

শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন,খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বকশীগঞ্জ ইউনিটও আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।পুরোপুরি আগুন নেভাতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন যাতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীবরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই,ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

শ্রীবরদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই,ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচরের দক্ষিণ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সোমবার (৩০ জুন) ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মালিকরা হলেন, মেসার্স মুরাদ স্টোরের মো. মুরাদুজ্জামান,মেসার্স অনু এন্টারপ্রাইজের শ্রী চৈতন্য মোদক ও শিহাব স্টোরের মনিরুজ্জামান। এছাড়া আরও দুটি দোকানেও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে শ্রীবরদী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়ার পরেও দেরিতে পৌঁছার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ভোরবেলায় স্থানীয়রা আগুনের খবর টের পেলেও ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মালামাল বের করারও কোনো সুযোগ ছিলনা। শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে পৌঁছায় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।জামালপুরের বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মুরাদুজ্জামান বলেন, আমার দোকান ও দুইটি গোডাউনের সমস্ত মালপত্র পুড়ে গেছে। প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব হারিয়ে এখন পথে বসেছি।
ব্যবসায়ী শ্রী চৈতন্য মোদক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে আমার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি শেষ হয়ে গেল। অন্তত ৮০-৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার পরিবারের জীবিকা বন্ধ হয়ে গেল।ক্ষতিগ্রস্ত অপর ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন,আমার দোকানের মালামালসহ প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব।

স্থানীয় এক বাসিন্দা আব্দুল জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শ্রীবরদী থেকে ঝগড়ারচর পর্যন্ত রাস্তা পুরো পাকা ও প্রসস্থ। গাড়ি দ্রুত পৌঁছাতে পারার কথা, কিন্তু কেন তাদের আসতে দেরি হলো বুঝতে পারলাম না। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস আসলে ক্ষয়ক্ষতি এতটা হতো না।

শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন,খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বকশীগঞ্জ ইউনিটও আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে।পুরোপুরি আগুন নেভাতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন যাতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।