ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংঘাতহীন সম্প্রীতির ধামইরহাট নির্মানের লক্ষ্যে আলোচনাসভা ও মানববন্ধন কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই- ডা. শফিকুর রহমান রাজশাহীতে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে কাঁদলেন শহীদ সাকিবের বাবা নলডাঙ্গায় দেয়ালে লেখা জয় বাংলা শ্লোগান মুছে দিল ছাত্রদল নাটোরে আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মোহনপুরে ইয়াং ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টারের বেল্ট বিতরন মান্দায় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ দেড় দশক পর রাজশাহীতে জামায়াতের সম্মেলন, নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা! নাটোরের নাট্যাভিনেত্রী পুতুল রায়ের পরলোকগমন নিষিদ্ধ সংগঠন নাটোর জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ঈশ্বরদী থেকে গ্রেফতার

শেরপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.সেলিম মিঞা কর্তৃক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীকে পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে আজ দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতিতে জেলার সকল সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য রাখনে, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা,কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক গনমুক্তি প্রতিনিধি মোহাম্মদ দুদু মল্লিক সহ অনেকে। প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে অপসারণের দাবীতে সিভিল সার্জন বরাবর স্মরকলিপি প্রদান করেন শেরপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। আগামী তিন দিনের মধ্যে ডা. সেলিম মিঞাকে শেরপুর জেলা হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আলটিমেটাম দেয়া হয় বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী কর্মসূচী থেকে। অন্যথায় শেরপুর জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিকদের নিয়ে জেলায় জেলায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

শুধু তাই নয়, সারা দেশে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতের সকল ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে অন্যায়কারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী করা হয়।এসময় বক্তারা বলেন, নানা অনিয়মের অভিযুক্ত হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে অপসারণ না করে, স্টোর কিপার রফিক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুন্নবী সজলকে বদলী করে স্বাস্থ্য বিভাগ ‘ঝি মেরে বউকে শাসন’ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী, জুলাই বিপ্লবের বিরোধীতাকারী, স্বাচিপ নেতা ডাঃ সেলিমের মত সন্ত্রাসীকে শেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগে দেখতে চাইনা।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে জেলা হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে যান সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী। এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাঃ সেলিম মিঞার কাছে চলতি বছরের হাসপাতালের ঔষধ ও মালামাল ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান ওই সাংবাদিক দুইজন। এক পর্যায়ে ডাঃ সেলিম মিঞা ওই সাংবাদিককে খবর প্রচার করতে নিষেধ করেন। খবর প্রচার করলে দেখে নেয়ারও হুমকী দেন তিনি। পরে ওই ছবি ধারণ করতে গেলে তিনি চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিকের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরাকে শার্টের কলার ধরে হেনস্থা করে তার কক্ষে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে কৌশলে পালিয়ে যান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শেরপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

শেরপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.সেলিম মিঞা কর্তৃক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীকে পেশাগত কাজে বাঁধা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে আজ দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতিতে জেলার সকল সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য রাখনে, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা,কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ঝিনাইগাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক গনমুক্তি প্রতিনিধি মোহাম্মদ দুদু মল্লিক সহ অনেকে। প্রতিবাদ কর্মসূচী শেষে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে অপসারণের দাবীতে সিভিল সার্জন বরাবর স্মরকলিপি প্রদান করেন শেরপুর প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। আগামী তিন দিনের মধ্যে ডা. সেলিম মিঞাকে শেরপুর জেলা হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আলটিমেটাম দেয়া হয় বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী কর্মসূচী থেকে। অন্যথায় শেরপুর জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিকদের নিয়ে জেলায় জেলায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

শুধু তাই নয়, সারা দেশে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতের সকল ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে অন্যায়কারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী করা হয়।এসময় বক্তারা বলেন, নানা অনিয়মের অভিযুক্ত হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিঞাকে অপসারণ না করে, স্টোর কিপার রফিক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুন্নবী সজলকে বদলী করে স্বাস্থ্য বিভাগ ‘ঝি মেরে বউকে শাসন’ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী, জুলাই বিপ্লবের বিরোধীতাকারী, স্বাচিপ নেতা ডাঃ সেলিমের মত সন্ত্রাসীকে শেরপুরের স্বাস্থ্য বিভাগে দেখতে চাইনা।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে জেলা হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে যান সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তী। এসময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাঃ সেলিম মিঞার কাছে চলতি বছরের হাসপাতালের ঔষধ ও মালামাল ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান ওই সাংবাদিক দুইজন। এক পর্যায়ে ডাঃ সেলিম মিঞা ওই সাংবাদিককে খবর প্রচার করতে নিষেধ করেন। খবর প্রচার করলে দেখে নেয়ারও হুমকী দেন তিনি। পরে ওই ছবি ধারণ করতে গেলে তিনি চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিকের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরাকে শার্টের কলার ধরে হেনস্থা করে তার কক্ষে প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে কৌশলে পালিয়ে যান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সেলিম মিয়া।