ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান বিভিন্ন দাবিতে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের ফটক সভা রাণীনগরে ব্যবসায়ীর দুই গোডাউন থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা পঞ্চগড়ে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার পঞ্চগড়ে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস পালিত মান্দায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে এক মণ গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা ধামইরহাট চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে হঠাৎ কোটিপতি হওয়া ওয়ার্ড আ’লীগ নেতার দাপটে তটস্থ স্থানীয়রা

শেরপুরে পু লি শ সদস্যের সম্পদের পাহাড়, আদালতে মামলা: তদন্তে দুদক

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুরে পু লি শ সদস্যের সম্পদের পাহাড়, আদালতে মামলা: তদন্তে দুদক

শেরপুরে জৈনক শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পুলিশের এএসআই’র চাকুরি করে আয় বর্হিভুত ভাবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। পুলিশের ওই এএসআই ঝিনাইগাতী উপজেলা মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চৈতাজানি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। আয় বর্হিভুত ভাবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন-২০০৪এর ২৭(১১) ধারা মোতাবেক শেরপুরের সিনিয়র স্পেশাল জেলা দায়রা জজ আদালতে জৈনক ডা: এ.এফ.এম হেজবুল বারি খাঁন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন নং- ১/২০২৩। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫কার্য দিবসের মধ্যে অভিযোগে আনিত সকল প্রমাণাধি চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুরে জমা দানের নির্দেশ প্রদান করেন, বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।

উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুর।বাদীর দায়ের করা আদালতের মামলার সুত্রে জানা গেছে,ঝিনাইগাতী উপজেলা মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চৈতাজানি গ্রামের হত-দরিদ্র মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে “পুলিশ কনস্টেবল” পদে যোগদান করেন। এর কয়েক বছর পর তিনি এএসআই পদে পদোন্নতি লাভ করে যোগদান করেন পুলিশ হেড কোয়াটারে।পরবর্তীতে তিনি সাবেক এক অতিরিক্ত ডিআইজি’র গানম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই এই এএসআই শরিফুল ইসলামের আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হওয়া শুরু হয়।

মামলার সুত্রে জানা গেছে, এএসআই শরিফুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই ৬ বছরেই তিনি শেরপুর পৌর শহরের কাজি বাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করেছেন ৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক একটি বাড়ী। শুধু তাই নয়,একি সময়ে তিনি ঝিনাইগাতী ও শেরপুরে ক্রয় করেছেন, ১কোটি ১৭ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার জমি। যাহার দলিল নং ৩২৫২,তারিখ- ২৭ ফেব্রূয়ারি-২০১৩,সাব রেজি- শেরপুর,জমির পরিমাণ সোয়া তিন শতাংশ,মুল্য- ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,দলিল নং- ৯২১, তারিখ- ২৩/৩/২০১৬, জমির পরিমাণ- দেড় শাতাংশ, মুল্য- ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, দলিল নং- ২৯০১, তারিখ- ১৮/১০/২০১৭, জমির পরিমাণ- ৯৭ শতাংশ, মুল্য- ৩২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, দলিল নং- ২৯০৭, তারিখ- ১৮/১০/২০১৭,জমির পরিমাণ- ২৫ শতাংশ,মুল্য- ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা,দলিল নং- ১৬৮৩, তারিখ- ৫/৭/২০১৮, জমির পরিমাণ- ১ একর ৩০ শতাংশ, মুল্য- ৪৭ লক্ষ টাকা, দলিল নং- ১৫২৫৬, তারিখ- ১৭/১১/২০১৬, জমির পরিমাণ- সাড়ে তিন শতাংশ, মুল্য- ২১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও নানা জায়গাতে নামে বেনামে রয়েছে তার অঢেল সম্পদ। একজন পুলিশের এএসআই’র এতো অল্প সময়ে এতে অঢেল সম্পদের মালিক কিভাবে হলো- বুঝতে পারছেনা এলাকাবাসীও। এলাকার সকলেই হতবাক এই পরিবারটিকে দেখে। যে পরিবারটি পুলিশে চাকুরি হওয়ার আগে নুন আনতে পান্তা ফোরাতো।

এ ব্যাপারে এএসআই শরিফুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাহার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহোদর ছোট ভাই শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুদকে যেহেতু তদন্ত চলছে, সেহেতু এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।তবে আপনাকে আমি দেখে নিব এই সংবাদ প্রকাশ করলে।আদালতে দায়ের করা এই মামলার বাদী ডা: এ.এফ.এম হেজবুল বারি খাঁন জানান,যেহেতু আমি ওই পুলিশের মুখোশ উন্মোচনের জন্যে মামলা করেছি, সেহেতু আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে পু লি শ সদস্যের সম্পদের পাহাড়, আদালতে মামলা: তদন্তে দুদক

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শেরপুরে পু লি শ সদস্যের সম্পদের পাহাড়, আদালতে মামলা: তদন্তে দুদক

শেরপুরে জৈনক শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পুলিশের এএসআই’র চাকুরি করে আয় বর্হিভুত ভাবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। পুলিশের ওই এএসআই ঝিনাইগাতী উপজেলা মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চৈতাজানি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। আয় বর্হিভুত ভাবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন-২০০৪এর ২৭(১১) ধারা মোতাবেক শেরপুরের সিনিয়র স্পেশাল জেলা দায়রা জজ আদালতে জৈনক ডা: এ.এফ.এম হেজবুল বারি খাঁন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যাহার পিটিশন নং- ১/২০২৩। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫কার্য দিবসের মধ্যে অভিযোগে আনিত সকল প্রমাণাধি চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুরে জমা দানের নির্দেশ প্রদান করেন, বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ।

উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, জামালপুর।বাদীর দায়ের করা আদালতের মামলার সুত্রে জানা গেছে,ঝিনাইগাতী উপজেলা মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চৈতাজানি গ্রামের হত-দরিদ্র মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে “পুলিশ কনস্টেবল” পদে যোগদান করেন। এর কয়েক বছর পর তিনি এএসআই পদে পদোন্নতি লাভ করে যোগদান করেন পুলিশ হেড কোয়াটারে।পরবর্তীতে তিনি সাবেক এক অতিরিক্ত ডিআইজি’র গানম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকেই এই এএসআই শরিফুল ইসলামের আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হওয়া শুরু হয়।

মামলার সুত্রে জানা গেছে, এএসআই শরিফুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই ৬ বছরেই তিনি শেরপুর পৌর শহরের কাজি বাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করেছেন ৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক একটি বাড়ী। শুধু তাই নয়,একি সময়ে তিনি ঝিনাইগাতী ও শেরপুরে ক্রয় করেছেন, ১কোটি ১৭ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার জমি। যাহার দলিল নং ৩২৫২,তারিখ- ২৭ ফেব্রূয়ারি-২০১৩,সাব রেজি- শেরপুর,জমির পরিমাণ সোয়া তিন শতাংশ,মুল্য- ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,দলিল নং- ৯২১, তারিখ- ২৩/৩/২০১৬, জমির পরিমাণ- দেড় শাতাংশ, মুল্য- ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, দলিল নং- ২৯০১, তারিখ- ১৮/১০/২০১৭, জমির পরিমাণ- ৯৭ শতাংশ, মুল্য- ৩২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, দলিল নং- ২৯০৭, তারিখ- ১৮/১০/২০১৭,জমির পরিমাণ- ২৫ শতাংশ,মুল্য- ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা,দলিল নং- ১৬৮৩, তারিখ- ৫/৭/২০১৮, জমির পরিমাণ- ১ একর ৩০ শতাংশ, মুল্য- ৪৭ লক্ষ টাকা, দলিল নং- ১৫২৫৬, তারিখ- ১৭/১১/২০১৬, জমির পরিমাণ- সাড়ে তিন শতাংশ, মুল্য- ২১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও নানা জায়গাতে নামে বেনামে রয়েছে তার অঢেল সম্পদ। একজন পুলিশের এএসআই’র এতো অল্প সময়ে এতে অঢেল সম্পদের মালিক কিভাবে হলো- বুঝতে পারছেনা এলাকাবাসীও। এলাকার সকলেই হতবাক এই পরিবারটিকে দেখে। যে পরিবারটি পুলিশে চাকুরি হওয়ার আগে নুন আনতে পান্তা ফোরাতো।

এ ব্যাপারে এএসআই শরিফুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাহার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার সহোদর ছোট ভাই শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুদকে যেহেতু তদন্ত চলছে, সেহেতু এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।তবে আপনাকে আমি দেখে নিব এই সংবাদ প্রকাশ করলে।আদালতে দায়ের করা এই মামলার বাদী ডা: এ.এফ.এম হেজবুল বারি খাঁন জানান,যেহেতু আমি ওই পুলিশের মুখোশ উন্মোচনের জন্যে মামলা করেছি, সেহেতু আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।