ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের শ্রীবরর্দী মাদ্রাসার জমি জবর দখলের অভিযোগ

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুরের শ্রীবরর্দী মাদ্রাসার জমি জবর দখলের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় জোরপূর্বক মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রোকনুজ্জামান রাসেল।

লিখিত বক্তব্যে রোকনুজ্জামান রাসেল বলেন, আমার মা আমাদের বাড়ির বিপরীত পাশে ৩৭.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরে সেই জমি থেকে ২০ শতাংশ জমি একটি মাদ্রাসায় ওয়াক্ফ করে দেন তিনি। পরবর্তীতে এই মাদ্রাসা আমার বাবা নূরনবী ও চাচা নূরুল হক পরিচালনা করে আসছিল।গত ২ বছর আগে এই মাদ্রাসায় একটি ইসলামী সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং চাচা নুরুল হক বৃহৎ অংকের টাকার অনুদান সংগ্রহ করে। মাদ্রাসা কমিটি যখন এই অনুদানের টাকা তার কাছে দাবি করে তখন নূরুল হক পরামর্শ দেন যে, মাদ্রাসার ওয়াকফ্কৃত দলিল বাতিল করে তার নিজ নামে দলিল করে দিতে হবে। তাহলে অনুদানের টাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কোটি টাকা আর্থিক সহযোগীতা আসবে। পরে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে আমার মা মাদ্রাসার ওয়াকফকৃত দলিল বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন করে। এরই মধ্যে আমার চাচা নূরুল হকের নামে প্রতারনার অভিযোগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, সে প্রতারনার মাধ্যমে অনেক নিরীহ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর আমরা এই মাদ্রাসার জমি তার নামে দলিল করে দিতে অনীহা প্রকাশ করলে সে আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার দিন আমার বাবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।

এছাড়া আমাদের ক্রয়কৃত জমিসহ মাদ্রাসার জমি জবরদখলের পায়তারা করে এবং মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ও মাদ্রাসা ঘর ভাঙচুর করে। মূলতঃ আমরা এই এলাকার ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে কাজ করতে চাই। কিন্তু সে কোন দলিল ছাড়া আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে ১৪৪ ধারার জন্য আবেদন করি। এবং মহামান্য আদালত তা মঞ্জুর করেন।সংবাদ সম্মেলনে রাসেল আরও বলেন,মামলা দায়েরের পর থেকে আমার চাচা বিভিন্নভাবে আমার পরিবার ও আমাকে মেরে ফেলা ও পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসতেছেন। সে স্থানীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এবং দূস্কৃতিকারীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মহড়া দিচ্ছে। আমরা আমাদের জান ও মালের নিরাপত্তা চাই।

জানতে চাইলে নূরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই জমি ৪ লক্ষ টাকায় কিনে নিয়েছি। কিন্তু আমার ভাবী ওই জমি আমার নামে লিখে না দিয়ে মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন।পরবর্তীতে আদালত ওই ওয়াকফ দলিল বাতিলের আদেশ দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।যেহেতু হিলফুল ফুজুল নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি আমি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছি, তাই আমার ক্রয়কৃত জমি আমার নামে লিখে দিতে হবে।

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ার জাহিদ জানান,এবিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। বিবাদমান পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরের শ্রীবরর্দী মাদ্রাসার জমি জবর দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

শেরপুরের শ্রীবরর্দী মাদ্রাসার জমি জবর দখলের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় জোরপূর্বক মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রোকনুজ্জামান রাসেল।

লিখিত বক্তব্যে রোকনুজ্জামান রাসেল বলেন, আমার মা আমাদের বাড়ির বিপরীত পাশে ৩৭.৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরে সেই জমি থেকে ২০ শতাংশ জমি একটি মাদ্রাসায় ওয়াক্ফ করে দেন তিনি। পরবর্তীতে এই মাদ্রাসা আমার বাবা নূরনবী ও চাচা নূরুল হক পরিচালনা করে আসছিল।গত ২ বছর আগে এই মাদ্রাসায় একটি ইসলামী সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং চাচা নুরুল হক বৃহৎ অংকের টাকার অনুদান সংগ্রহ করে। মাদ্রাসা কমিটি যখন এই অনুদানের টাকা তার কাছে দাবি করে তখন নূরুল হক পরামর্শ দেন যে, মাদ্রাসার ওয়াকফ্কৃত দলিল বাতিল করে তার নিজ নামে দলিল করে দিতে হবে। তাহলে অনুদানের টাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কোটি টাকা আর্থিক সহযোগীতা আসবে। পরে এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তে আমার মা মাদ্রাসার ওয়াকফকৃত দলিল বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন করে। এরই মধ্যে আমার চাচা নূরুল হকের নামে প্রতারনার অভিযোগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। এই খবরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, সে প্রতারনার মাধ্যমে অনেক নিরীহ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর আমরা এই মাদ্রাসার জমি তার নামে দলিল করে দিতে অনীহা প্রকাশ করলে সে আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার দিন আমার বাবা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।

এছাড়া আমাদের ক্রয়কৃত জমিসহ মাদ্রাসার জমি জবরদখলের পায়তারা করে এবং মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ও মাদ্রাসা ঘর ভাঙচুর করে। মূলতঃ আমরা এই এলাকার ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে কাজ করতে চাই। কিন্তু সে কোন দলিল ছাড়া আমাদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আদালতে ১৪৪ ধারার জন্য আবেদন করি। এবং মহামান্য আদালত তা মঞ্জুর করেন।সংবাদ সম্মেলনে রাসেল আরও বলেন,মামলা দায়েরের পর থেকে আমার চাচা বিভিন্নভাবে আমার পরিবার ও আমাকে মেরে ফেলা ও পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসতেছেন। সে স্থানীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এবং দূস্কৃতিকারীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মহড়া দিচ্ছে। আমরা আমাদের জান ও মালের নিরাপত্তা চাই।

জানতে চাইলে নূরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই জমি ৪ লক্ষ টাকায় কিনে নিয়েছি। কিন্তু আমার ভাবী ওই জমি আমার নামে লিখে না দিয়ে মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন।পরবর্তীতে আদালত ওই ওয়াকফ দলিল বাতিলের আদেশ দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।যেহেতু হিলফুল ফুজুল নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি আমি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছি, তাই আমার ক্রয়কৃত জমি আমার নামে লিখে দিতে হবে।

এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ার জাহিদ জানান,এবিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। বিবাদমান পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।