ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির উদ্বোধন মোহনপুরে ফিড মিলে বিস্ফোরণ, আহত ৪ বাগাতিপাড়ায় পূজামন্ডপ পরিদর্শণ করলেন জামায়াত নেতারা আরও ৫দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা ডাবলু; বিক্ষুব্ধ জনতার ডিম, ইট ও কাদা নিক্ষেপ নাটোরে স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রায়পুরায় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নাটোরে পূজা মন্দির পরিদর্শনে ভারতী সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’ নামে সর্বদলীয় ঐক্যের আত্মপ্রকাশ গুরুদাসপুরে বেতন ভাতা আটকে রাখার অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! বাগাতিপাড়ায় নর্দমায় পড়ে প্রাণ গেলো শিশু ছামাদের

শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায় অদম্য মেধাবী মীম ও মুন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ২০১ বার পড়া হয়েছে

Collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায় অদম্য মেধাবী মীম ও মুন!

নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের অদম্য মেধাবী ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম ও মোহনা আক্তার মুনএ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে চরম হতাশায় রয়েছে। পরিবারের অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও তাদের কিশোরী মনে নেই কোন আনন্দ।

নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনের বাবা জহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকায় সে তার মায়ের সাথে বসবাসকরে স্থানীয় পন্ডিতগ্রাম বটতলা মোড়ে মামা আব্দুল আজিজ খলিফার বাড়িতে। মামার বাড়ির এক কোনায় পুরাতন ভাংগাটিন জোরা তালি দিয়ে কোনমতে গড়ে তোলা ছোট্র একটি ঘরে মা মর্জিনা খাতুনের সাথেই তার বসবাস। সেই ঘরে ভাংগা একটি চৌকি ও পড়ার টেবিল ছাড়া নেই আর কোন আসবাবপত্র। মানি যে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার যতটা সম্ভব খরচ যোগান দেন। মুনি যে প্রাইভেট পড়িয়ে কিছুটা টাকা যোগার করেন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগীতায় এতদূর আসলেও এখন কিভাবে পড়ালেখা চালাবেন তানিয়ে ভীষন চিন্তিত তারমা ও মামা। মুনের ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আদৌ স্বপ্নই থেকে যাবে কিনা তানিয়ে চিন্তাতেই দিন কাটছে তাদের।

অপরদিকে সদরের আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস গাজী দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তিনি কোন কাজ কর্ম করতে পারেননা। তিন বোনের মধ্যে মীমবড়। মাজরিনা বেগম বিভিন্ন কাজ করে মেয়েকে এতদূর নিয়ে আসলেও এখন আর পারছেননা। তাই টাকার অভাবে মেধাবী মীমকে তার বাবা মা বিয়ে দিয়ে দিতে চান। মীম চায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে তাদের মতো গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।

মীম বলেন, নিজে এলাকার বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে বই খাতা কলম কিনেছি। ইচ্ছে থাকলেও কখনো ভালো পোষাক পড়িনি। মা তো ঠিকমতো খাবারই যোগার করতে পারেননি। এখন বাহিরে পাঠিয়ে উচ্চ শিক্ষা দেয়ার সাধ্য তার পরিবারের নেই। মুন ও মীম তাদের শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায়। তাই সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মুন ও মীমের পাশে দাঁড়ালেই তাদের শিক্ষা জীবন অব্যহত থাকতে পারে। তাদের স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে এমন আশা তাদের। নইলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে দুটি অদ্যম মেধাবী মুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায় অদম্য মেধাবী মীম ও মুন!

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায় অদম্য মেধাবী মীম ও মুন!

নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের অদম্য মেধাবী ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম ও মোহনা আক্তার মুনএ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে চরম হতাশায় রয়েছে। পরিবারের অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েও তাদের কিশোরী মনে নেই কোন আনন্দ।

নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মুনের বাবা জহুরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকায় সে তার মায়ের সাথে বসবাসকরে স্থানীয় পন্ডিতগ্রাম বটতলা মোড়ে মামা আব্দুল আজিজ খলিফার বাড়িতে। মামার বাড়ির এক কোনায় পুরাতন ভাংগাটিন জোরা তালি দিয়ে কোনমতে গড়ে তোলা ছোট্র একটি ঘরে মা মর্জিনা খাতুনের সাথেই তার বসবাস। সেই ঘরে ভাংগা একটি চৌকি ও পড়ার টেবিল ছাড়া নেই আর কোন আসবাবপত্র। মানি যে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার যতটা সম্ভব খরচ যোগান দেন। মুনি যে প্রাইভেট পড়িয়ে কিছুটা টাকা যোগার করেন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগীতায় এতদূর আসলেও এখন কিভাবে পড়ালেখা চালাবেন তানিয়ে ভীষন চিন্তিত তারমা ও মামা। মুনের ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আদৌ স্বপ্নই থেকে যাবে কিনা তানিয়ে চিন্তাতেই দিন কাটছে তাদের।

অপরদিকে সদরের আগদিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীমের বাবা আব্দুল কুদ্দুস গাজী দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। তিনি কোন কাজ কর্ম করতে পারেননা। তিন বোনের মধ্যে মীমবড়। মাজরিনা বেগম বিভিন্ন কাজ করে মেয়েকে এতদূর নিয়ে আসলেও এখন আর পারছেননা। তাই টাকার অভাবে মেধাবী মীমকে তার বাবা মা বিয়ে দিয়ে দিতে চান। মীম চায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে তাদের মতো গরীব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।

মীম বলেন, নিজে এলাকার বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে বই খাতা কলম কিনেছি। ইচ্ছে থাকলেও কখনো ভালো পোষাক পড়িনি। মা তো ঠিকমতো খাবারই যোগার করতে পারেননি। এখন বাহিরে পাঠিয়ে উচ্চ শিক্ষা দেয়ার সাধ্য তার পরিবারের নেই। মুন ও মীম তাদের শিক্ষা জীবন অব্যহত রাখতে চায়। তাই সমাজের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মুন ও মীমের পাশে দাঁড়ালেই তাদের শিক্ষা জীবন অব্যহত থাকতে পারে। তাদের স্বপ্নও বাস্তবায়ন হবে এমন আশা তাদের। নইলে অকালেই ঝরে পড়তে পারে দুটি অদ্যম মেধাবী মুখ।