শিক্ষার্থীর মা কে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে!
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীর মা কে স্কুলে ডেকে নিয়ে এসে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সহকারী শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর মা এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী আমাদের প্রতিনিধি কে জানান, নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সহকারী শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মা স্বাক্ষর লাগবে বলে স্কুল ছুটির সময় আমার মেয়েকে দিয়ে আমাকে ডেকে পাঠাতো, আমি গেলে আমার শরীরের কাপড় টানতো এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিত। আমি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে টাকা দেওয়ার লোভ পর্যন্ত দেখায়।
গত ২১ সালের ৮ নভেম্বর সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় আমার বাড়িতে রাতের বেলায় এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সহকারী শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মা, আমি চিৎকার করলে আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে মেরে ফেলা, সহ বিভিন্ন মিথ্যা বদনাম দিয়ে এলাকা ছাড়া করবে ও আমার সংসার নষ্ট করারও হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, একদিন রাতে আমি প্রাকৃতিক কাজ থেকে আসার সময় আমাকে একা পেয়ে আমার বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত একটা ঘরে জোর করে নিয়ে গিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এবং আমাকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে বলে যে কাউকে কিছু বললে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করবে বা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে।
পরবর্তীতে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ও ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদে সভাপতি অলিন চন্দ্র কে বিচার দেয়, কিন্তু তারা সমাধান করতে ব্যর্থ হন। আমি গরীব বলে কি বিচার পাবো না। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগকারীর স্বামী বলেন, আমি গরিব মানুষ, তাই সংসার চালানোর জন্য ঢাকায় ও কুমিল্লায় কাজ করতে যায়, আর সেই সময় খোকন মাষ্টার আমার স্ত্রীর সাথে এমন ঘটনা ঘটায়। এলাকায় তার প্রভাব থাকায় বিচার দিয়েও আমি বিচার পাইনি। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক খোকন মাস্টারের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে জানা যায় তিনি অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন ।
এবিষয়ে নেকমরদ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অলিন চন্দ্র বলেন, আমি অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষক খোকন চন্দ্র কে ডেকে পাঠায়, তিনি এসে বলেন এসব কাজ করা আমার ভূল হয়েছে। আমি বাসায় গিয়ে মীমাংসা করে নিব।
রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিমউদ্দীনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে জানতাম না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অভিযোগ পেলে এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে জানান, শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।