ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীনগরে রেলগেটের যানজট নিরসনে আন্ডারপাস বা ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন মান্দায় বাড়ির আঙিনা থেকে ছয়টি গাঁজার গাছ উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিকে দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত চারঘাটে রঙ মেশানো ১২ টন মুগডাল জব্দ, দুই মিল মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ঠাকুরগাঁওয়ে বিস্কুট খাওয়ার পরপরই অসুস্থ কুমারপুর বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী! বাগাতিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার- রহস্য আত্মহত্যা নাকি হত্যা? শেরপুরে প্রণোদনার ভাগ না পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পে’টালেন ছাত্রদল নেতা! নাটোরের বড়াইগ্রামে আদিবাসী হত্যা দিবস পালিত রাণীনগরে ধানক্ষেত থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হ/ত্যা পঞ্চগড়ে ৭ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ শুরু

রৌদ্রের তীব্র তাপদাহের মাঝেও ধামইরহাটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

collected picture

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রৌদ্রের তীব্র তাপদাহের মাঝেও ধামইরহাটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

রৌদ্রের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই বসন্তের রক্তিম রেশ ধরে রেখেছে গ্রীস্মের চোখধাঁধানো লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে লালের অরণ্য। খররোদে তৃপ্ত দিনে ধামইরহাটের প্রকৃতি যেন, কৃষ্ণচূড়ার ডালি সাজিয়ে রেখেছে। গাছে গাছে ফুটেছে রক্তিম আলো। যার মোহনীয় রূপে সেজেছে ধামইরহাট উপজেলার পথ-প্রান্তর।

কৃষ্ণচূড়া যে মানুষের মনে নতুনের দোলা দেয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পথঘাটে কৃষ্ণচূড়া এনেছে ভিন্ন আমেজ। গ্রাম বাংলার মেঠো পথের ধারে এখন শোভা পাচ্ছে লাল এই ফুল। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত পথিকদের। তীব্র দাবদাহে দিশেহারা পথচারীরা পুলকিত নয়ণে, অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া, এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। ‘গুলমোহর’ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো গাঢ় লাল রঙের হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়।

ধামইরহাটের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, এমনকি বাড়ির উঠানেও অনন্য রূপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গাছে রক্তিম আভা নিয়ে জেগে থাকা কৃষ্ণচূড়া দৃষ্টি কাড়ছে ফুলপ্রেমীদের। প্রকৃতিপ্রেমীরাও ছুটে আসছে কৃষষ্ণচূড়ার এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যের ছবি তুলছেন অনেকেই।

জানা গেছে, সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস নিয়েই গ্রীষ্মকাল। আর গ্রীষ্মের ফুলের কথা বলতেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার কথা। সুমিষ্ট রসাল ফলের জন্য গ্রীষ্মকাল এগিয়ে রয়েছে, তবে ফুলের দিক থেকেও অন্য সব ঋতুর তুলনায় এগিয়ে। তাই ফুল উৎসবের ঋতু বলা যায় গ্রীষ্মকালকেই। এ মৌসুমে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের যে উম্মাদনা, তা এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো অসম্ভব।

প্রকৃতিপ্রেমী মোঃ কাওছার হোসেন বলেন, রক্তিম আলো শুধু সূর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যে আলো ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। যখন কৃষ্ণচূড়া ফোটে তখন গাছের লাল-সবুজ রঙে যেন মুখর হয়ে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রৌদ্রের তীব্র তাপদাহের মাঝেও ধামইরহাটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

রৌদ্রের তীব্র তাপদাহের মাঝেও ধামইরহাটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

রৌদ্রের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করেই বসন্তের রক্তিম রেশ ধরে রেখেছে গ্রীস্মের চোখধাঁধানো লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে মনে হবে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে লালের অরণ্য। খররোদে তৃপ্ত দিনে ধামইরহাটের প্রকৃতি যেন, কৃষ্ণচূড়ার ডালি সাজিয়ে রেখেছে। গাছে গাছে ফুটেছে রক্তিম আলো। যার মোহনীয় রূপে সেজেছে ধামইরহাট উপজেলার পথ-প্রান্তর।

কৃষ্ণচূড়া যে মানুষের মনে নতুনের দোলা দেয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পথঘাটে কৃষ্ণচূড়া এনেছে ভিন্ন আমেজ। গ্রাম বাংলার মেঠো পথের ধারে এখন শোভা পাচ্ছে লাল এই ফুল। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত পথিকদের। তীব্র দাবদাহে দিশেহারা পথচারীরা পুলকিত নয়ণে, অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া, এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ। ‘গুলমোহর’ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো গাঢ় লাল রঙের হয়। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়।

ধামইরহাটের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, এমনকি বাড়ির উঠানেও অনন্য রূপ ধারণ করে ফুটেছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গাছে রক্তিম আভা নিয়ে জেগে থাকা কৃষ্ণচূড়া দৃষ্টি কাড়ছে ফুলপ্রেমীদের। প্রকৃতিপ্রেমীরাও ছুটে আসছে কৃষষ্ণচূড়ার এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যের ছবি তুলছেন অনেকেই।

জানা গেছে, সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস নিয়েই গ্রীষ্মকাল। আর গ্রীষ্মের ফুলের কথা বলতেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার কথা। সুমিষ্ট রসাল ফলের জন্য গ্রীষ্মকাল এগিয়ে রয়েছে, তবে ফুলের দিক থেকেও অন্য সব ঋতুর তুলনায় এগিয়ে। তাই ফুল উৎসবের ঋতু বলা যায় গ্রীষ্মকালকেই। এ মৌসুমে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের যে উম্মাদনা, তা এতই আবেদনময়ী যে চোখ ফেরানো অসম্ভব।

প্রকৃতিপ্রেমী মোঃ কাওছার হোসেন বলেন, রক্তিম আলো শুধু সূর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যে আলো ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। যখন কৃষ্ণচূড়া ফোটে তখন গাছের লাল-সবুজ রঙে যেন মুখর হয়ে আছে।