রাবি ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই শিবির ক্যাডার গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২ ৪০ বার পড়া হয়েছে
রাবি ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই শিবির ক্যাডার গ্রেপ্তার
এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো:
রাবি ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই শিবির ক্যাডার গ্রেপ্তার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাফিউল হক নাফি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় দুই ছাত্রশিবির ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫ ।
শুক্রবার রাতে র্যাব-৫ এর একটি দল রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার জাহাজঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে র্যাব-৫ এর সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, রাজশাহী নগরের মতিহার থানার খোজাপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে সালাউদ্দিন বাপ্পি (২৭) ও একই এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে নবাব শরীফ (২৭)। তারা দুইজনই উগ্রবাদি রাজনীতিক দলের সঙ্গে জড়িত বলে র্যাব জানিয়েছে।
গত ৬ মার্চ রাজশাহীর বিনোদপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিউল হক নাফি গুরুতর আহত হন তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের থাকেন। পরের দিন নাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরেক ছাত্র শরীফ বিনোদপুরের এনআর ছাত্রাবাসে থাকতেন। ওই মেসের ছাত্রদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পাড়া বাধ্যতামূলক। তবে পরীক্ষার জন্য বেশী পড়াশোনা করতে গিয়ে মেসে নামাজ পড়া নিয়ে ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীর সঙ্গে শরীফের বিরোধ বাধে। ওই ছাত্ররা শরীফের কক্ষের সামনে হট্টগোলও করে। এ বিষয়ে শরীফ ওই মেসের মালিকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
বুধবার রাতে মেসের মালিক, শরীফ, নাফিসহ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি সমাধান করতে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শেষদিকে ওই কক্ষে কয়েকজন স্থানীয় তরুণ ঢোকেন। এক পর্যায়ে তারা শরীফ ও নাফিসহ ক্যাম্পাস থেকে যাওয়া ছাত্রদের মারধর শুরু করে। এ সময় সবাই ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে গেলেও ছাত্রবাসের সামনে নাফিকে ধরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। প্রথমে নাফিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।