রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রায় বহাল রেখেছে আদালত
- আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রায় বহাল রেখেছে আদালত
এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো:
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার রায় বহাল রেখেছে আদালত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যার দায়ে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আবদুস সালাম।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে অধ্যাপক এস তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ, ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ এবং মেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান ও ইমরান সিদ্দিকী। আর অধ্যাপক তাহেরের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
অন্যদিকে সাজা কমিয়ে দুথজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেন।