রাণীশংকৈলে ধানক্ষেত থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
- আপডেট সময় : ১২:১৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১ ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
নাজমুল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভান্ডারা পাচঁপীর কবরস্থানের দক্ষিন পাশের এক ধান ক্ষেত থেকে (৯ অক্টোবর) শনিবার বেলা ১২টায় দূগর্ন্ধযুক্ত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত ব্যক্তি হলেন ঐ এলাকার শহিদুল ও আলেফা দম্পতির একমাত্র পুত্র আলেফ রহমান (২০)। সে একই এলাকার সিরাজুলের ইলেকট্রনিক দোকানে মালামাল সরবারহকারীর চাকুরী করতেন।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন রাণীশংকৈল সার্কেল এএসপি তোফাজ্জল হোসেন থানা পরির্দশক এসএম জাহিদ ইকবাল।নিহত তরুণের মা আলেফা পারভীন তার ছেলেকে হত্যাকরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে দাবী করে পুলিশের কাছে এর সঠিক তদন্তসহ বিচারচান। স্থানীয়রা জানায়, সে একটু নেশাগ্রস্থ ছিলেন,কিছুদিন আগে সে জেল থেকে বেরিয়ে সিরাজুলের দোকানে মালামাল সরবারহকারীর চাকুরী নেন। তবে নেশা সে ছাড়তে পারেনি।
নিহত তরুণের মা আলেফা ঘটনাস্থলেই সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে বাড়ীতে নেই। তাকে অনেক খোজাখুজি করেছি কোথাও পায়নি। আজ সকাল ১১টায় এই ধান খেতে ধান কাটার সময় শ্রমিকরা একটি লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে হাজির হয় তাদের সাথে আমিও হাজির হয়। মরদেহের মুখ থেকে শনাক্ত করি এটা আলিফের মরদেহ।
আলেফা পারভীন দাবী করেন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে কে হত্যা করেছে এবং কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের খুজে বের করার জন্য উপস্থিত পুলিশদের তিনি অনুরোধ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমার ছেলে দুবার গাড়ী এক্সিডেন্ট করেছে যাদের গাড়ী নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে তারাই এই ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে কারা সেই ব্যক্তি তার নাম তিনি প্রকাশ করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে নিহতের মা পারভীন বলেন, নেশা এক সময় করতো জেল থেকে বেরিয়ে চাকুরী নিয়ে সে ভালো হয়ে গিয়েছিল।
থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। তবে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানানো যাবে।