রাণীশংকৈলে তীব্র শীতে হাড় কাপছে নিম্ন আয়ের মানুষের

- আপডেট সময় : ০২:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
রাণীশংকৈলে তীব্র শীতে হাড় কাপছে নিম্ন আয়ের মানুষের
সারাদেশের যে সকল জেলা গুলোতে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি ছড়ায়, সেগুলোর মধ্যে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের পরেই রয়েছে ঠাকুরগাঁও। এর মধ্যে মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই শীতের প্রকোপ পঞ্চগড় কে ছাড়িয়ে যায় ঠাকুরগাঁও জেলা। এ জেলার অন্যতম একটি উপজেলা হচ্ছে রাণীশংকৈল। মঙ্গলবার রাণীশংকৈল উপজেলায় ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করে। রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন তাদের হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালায় ঘন কুয়াশার কারণে। যেন কয়েক হাত দুরেই কিছুই দেখা যায় না। গতকয়েক দিন ধরে সকাল থেকে দুপুরের আগ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলে না।
এ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়ন রয়েছে। উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় দুই লাখ ৪৪ হাজার ৭৪ জন মানুষের বসবাস। তবে এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ হচ্ছে নিম্ন আয়ের। যারা বিভিন্ন কৃষি কাজ ও ছোট ছোট যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তবে প্রতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলে শীতের আমেজ আসলেও ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে এ উপজেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে শীতের প্রকোপে। সেই সাথে ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায় সরকারি ভাবে উষ্ণ কাপড়ের চাহিদা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি ভাবে গরম কাপড়ের সংখ্যা খুব কম, প্রশাসনিক ভাবে বিতরণে ও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। অনেক নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে, যারা শীত নিবারণের জন্য ভোরবেলা ও সন্ধ্যা নামলেই বিভিন্ন খরকুটো জ্বালিয়ে একটু গরমের উষ্ণতা পাওয়ার চেস্টা করে।তবে এই হাড়কাপা শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ক্ষেত খামারের দিনমজুর ও বিভিন্ন ছোটখাটো যানবাহন ও ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো। দিনমজুর মফিজুল ইসলাম ও সবুর আলী সহ বেশ কয়কে জন জানিয়েছে কয়েক দিন থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড ঘনকুয়াশার কারণে খুব ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার কারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে যাওয়া যায় না কাজের জন্য।
অপর দিকে ভ্যানচালক তোতামিয়া ও রুবেল হোসেন, আনোয়ার সহ অনেকে জানায় প্রচন্ড ঠান্ডা কুয়াশার কারণে সারাদিন প্রায় ভ্যান চালানো যায় না খুব বেশি ঠান্ডার জন যাত্রীর জন্য ভ্যানে উঠতে চাইনা। অনেকেই বলছেন সরকারি ভাবে আমরা কোন গরম কাপড় কম্বল পাইনি একটু শীত নিবারণের জন্য। অন্যদিকে এসময় শীতের কারণে আয়রোজগার খুব কম।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এবিষয়ে বলেন, আমরা এবার ৬ হাজার ১৬৬ টি কম্বল পেয়েছি যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তবে যা পেয়েছি সেগুলো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার অসহায় গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের বাড়িতে গিয়ে নিজে বিতরণ করার চেস্টা করেছি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।