রাণীশংকৈলে টাকা দিয়েও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ী না পেয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ
- আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
রাণীশংকৈলে টাকা দিয়েও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ী না পেয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ী বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ধর্মগড় এলাকাবাসীর ব্যানারে ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আতাউর রহমান, ধর্মগড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মইনউদ্দীন কাবুল ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপজেলা ভুমি অফিসের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা পরিষদের ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে কিছু সময় ইউপি ভুমি কর্মকর্তা আতাউর রহমান, বেলাল ও কাবুলের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। পরে তারা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে। এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয় ইউপি ভুমি কর্মকর্তা একশত বাড়ীর বিপরীতে কাবুল আর বেলালের মাধ্যমে প্রায় তিনশত মানুষের কাছে টাকা নিয়েছে। টাকা নিয়ে কিছু পরিবারকে বাড়ি দিয়েছেন। তবে বেশিরভাভ মানুষকেই এখনো বাড়ী দিতে পারেনি। এমন অবস্থায় এখনো অনেক মানুষ তাদের দেওয়া টাকা ফেরত পায়নি। বাড়ীও পায়নি।
তাই ভুমি কর্মকর্তা আতাউর রহমান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি দালাল বেলাল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মইনউদ্দীন কাবুলের দৃষ্টামুলক শাস্তি দাবী করেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও তাদের কাছে থাকা অসহায় দরিদ্র মানুষদের টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ধর্মগড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মইনউদ্দীন কাবুল ও স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি বেলাল হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।
ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আতাউর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন, নিয়ম অনুযায়ী বাড়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে বাড়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এখানে একটি স্বার্থনেষীমহল তাদের অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারায় এ ধরনের কর্মসুচি দিয়ে তাকে সমাজে, উপজেলা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে মাত্র বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আর্নিকা আক্তার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে অব্যশই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।