রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য্য টিকিয়ে রাখতে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিল জামায়াত

- আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য্য টিকিয়ে রাখতে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিল জামায়াত
রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য্য টিকিয়ে রাখতে নগরীর মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহর থেকে সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গত শনিবার কর্মী সম্মেলনের পর বিকেল থেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে কাজ শুরু করেন। ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের শুরুটা করেন নগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী ও সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল নিজেই। এছাড়া নগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন ও সাংগঠনিক সেক্রেটারী জসিম উদ্দিন সরকারকেও কর্মীদের নিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা যায়।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে শনিবার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে পুরো শহরেই ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছিল। মোড়ে মোড়ে সুউচ্চ তোরণে সেজে উঠেছিল রাজশাহী। তবে কেউ কেউ ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো নিয়ে সমালোচনাও করছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কর্মী সম্মেলন শেষ হলে তারা নিজ উদ্যোগেই সব অপসারণ করে নেবেন। সে অনুযায়ী সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে শহর ঘুরে কোথাও ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়নি। রাজশাহীতে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির পর এভাবে দলের পক্ষ থেকেই সব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। কর্মী সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমরা ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে নেমে পড়ি যেন শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট না হয়। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নিয়েছি। এখনও যদি কোথাও দু’একটি ব্যানার-ফেস্টুন থেকে থাকে, তাহলে সেটি দেখামাত্রই আমাদের লোকজনই সরিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, এত বড় একটা সমাবেশ হলো, প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী এসেছিলেন। আমরা কিন্তু কোনো বাসও শহরের মধ্যে ঢোকাইনি। সব বাস শহরের বাইরে রেখে নেতাকর্মীরা হেঁটে সমাবেশস্থলে গিয়েছেন। ফলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। কোনো মানুষের দুর্ভোগও পোহাতে হয়নি।