ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

এম এম মামুন রাজশাহী:
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা নিজের কাজ ফেলে রোগীদের ট্রলি ঠেলে বেড়ান। এর বিনিময়ে তারা রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদেরকে মজুরি দিয়ে থাকে। বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এনফোর্সমেন্ট অভিযানে গিয়ে এ চিত্র দেখেছে।

পাশাপাশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়া নিয়ে দৈরাত্মও দুদকের নজরে এসেছে। এ দুটি ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে। দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের শর্ট স্লিপে সকল প্রকার ওষুধের গড়মিল আছে। মন্টিলুকাস, ফেকসু, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, মেট্রো, ডায়াগন টু, জিটিএন ও প্যারাসিটামল খরচের সাথে স্লিপের মিল থাকে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়। টিমের সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চালান। তারা বেশকিছু নথিপত্রও নিয়ে যান।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযানে আমরা স্টোর রুমের খাতা দেখেছি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আমরা কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।’

অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা ট্রলি পরিচালনা করে। তাদের দৈরাত্ম লক্ষ্য করেছি। এছাড়া হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নিয়েও দৈরাত্ম দেখেছি। প্রাথমিকভাবে এ দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখেছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক পেয়েছে, যারা কনসার্ন আজই তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে তাদের নিজেদের কাজ করতে হবে, সেটা বলা হয়েছে।’ ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রকম ভৌতিক কমপ্লেইন থাকেই। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা নিজের কাজ ফেলে রোগীদের ট্রলি ঠেলে বেড়ান। এর বিনিময়ে তারা রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করেন টাকা। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাদেরকে মজুরি দিয়ে থাকে। বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এনফোর্সমেন্ট অভিযানে গিয়ে এ চিত্র দেখেছে।

পাশাপাশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়া নিয়ে দৈরাত্মও দুদকের নজরে এসেছে। এ দুটি ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাওয়া এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে। দুদকে করা অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের শর্ট স্লিপে সকল প্রকার ওষুধের গড়মিল আছে। মন্টিলুকাস, ফেকসু, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, মেট্রো, ডায়াগন টু, জিটিএন ও প্যারাসিটামল খরচের সাথে স্লিপের মিল থাকে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেয়া হয়। টিমের সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে অভিযান চালান। তারা বেশকিছু নথিপত্রও নিয়ে যান।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বলেন, ‘অভিযানে আমরা স্টোর রুমের খাতা দেখেছি। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আমরা কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।’

অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা ট্রলি পরিচালনা করে। তাদের দৈরাত্ম লক্ষ্য করেছি। এছাড়া হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নিয়েও দৈরাত্ম দেখেছি। প্রাথমিকভাবে এ দুটি ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখেছি। আমরা এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক পেয়েছে, যারা কনসার্ন আজই তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে তাদের নিজেদের কাজ করতে হবে, সেটা বলা হয়েছে।’ ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ রকম ভৌতিক কমপ্লেইন থাকেই। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি না।