রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি
- আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৯০ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতি
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান শাখায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাংকটিতে বিএনপি-জামায়াতের দুটি পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাতাহহাতির ঘটনাটি এ দুটি পক্ষের মধ্যে ঘটে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আউট সোর্সিং সিকিউরিটি গার্ডদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপি-জামায়াতপন্থি অফিসারদের দুটি গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা করছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানা গেছে, বিএনপিপন্থি দাবি করা ইব্রাহিম হোসেন হিরাসহ তার লোকজন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইব্রাহিম হোসেন হিরা বিএনপিপন্থি বলে দাবি করেন।
রাকাব সূত্র জানায়, রাকাবের প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্বরত সিউকিউরিটি গার্ডদের গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। এ নিয়ে একটি পক্ষকে নিয়ে সোমবার সিনিয়র অফিস ইব্রাহিম হোসেন হিরা প্রিন্সিপাল শাখায় যান। এর পর জামায়াতপন্থি প্রিন্সিপাল অফিস মেসকাতুল আনোয়ারের গ্রুপ সেটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ওই দুটি গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সিনিয়র অফিস ইব্রাহিম হোসেন হিরা আহত হয়েছেন। তিনি মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাকাবের মহাব্যবস্থাপক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ। এর পরও দুটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য পৃথকভাবে জড়ো হয়ে রাকাবের প্রধান কার্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন।
রাকাবের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম হোসেন হিরা বলেন, দুপুরে আমি সিউকিউরিটি গার্ডদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। মীমাংসা বৈঠক থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে জামায়াতপন্থি গ্রুপের মেসকাতুল আনেয়ার, তার সহযোগী ও রাকাব শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ ও ইব্রাহমি হোসেনসহ আরও কয়েকজন আমার ওপর হামলা করেন। এসময় আমার সাথে থাকা অফিসার-কর্মচারীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাদেরও মারধর করা হয়। তাদের মারপিটে আমি আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রাকাবের মহাব্যবস্থাপক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে রাকাবের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার জাহিদ বলেন, সামান্য ঘটনা ঘটেছিল বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে।