রাজশাহীর বাঘায় আগাম আমের মুকুল
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সাইদুল ইসলাম, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে। আম্রকাননে মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে মধু মাসে। শীতের এবার তেমন তীব্রতা না থাকায় ও আবহাওয়াগত কারনে এই উপজেলায় গাছ গুলিতে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। বর্তমানে কয়েকদিন থেকে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘন কুয়াশা ও শীতল হিম বাতাসের ঠান্ডায় মুকুলের কিছু ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত রাজধানী হিসেবে অনেক আগে থেকে আমাদের জানা। বাঘা উপজেলা এর একটি অংশ। এই অঞ্চলে চাষকৃত উল্লেখ যোগ্য জাতের আম হলো খেরসাপাত (হিমসাগর), ফজলি, লকনা, নেংড়া, গোপালভোগ, রানী পছন্দ, আম্রপলী, হাড়িভাংগা অন্যতম। সরেজমিনে বাঘা উপজেলা মনিগ্রাম, বাউসা, পাকুড়িয়া, চন্ডিপুুর খুদিছয়ঘটি, মশিদপুর পদ্মার চরাঞ্চলেও গিয়ে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। জলবদ্ধতায় অনেক এলাকায় এবার আমগাছ মারা গেছে। আগাম মুকলের আগে থেকেই বাগান মালিকরা পরিচর্যা কাজ করে চলেছেন। বড়ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন আম চাষি ও বাগান মালিকেরা। শীত কালের মাঘ মাসের শেষের দিকে সব বাগান গুলিতে মুকুল আসবে বলে জানান তারা। আম চাষি আমিরুল,হযরত, সাইফুল, আবুআবজাল, আকরাম, আলতাব, জনাব, আফছার বলেন এ বছর শীতের তীব্রতা কম থাকায় এবং অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকায় আগাম মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আম গাছ গুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা বেশি। তারা আরো বলেন চলতি মাসের শেষের দিকেই ও বসন্ত রাজের ১ম সপ্তাহে প্রতিটি গাছেয় পুরোপুরি ভাবে মুকুল ফুটবে। কৃষকেরা আবারও বলেন করোনার জন্য গত বছর আমের দাম ভালো পায়নি এবারেও যে কি হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন তবে আমাদের বুক ভরা আশা রয়েছে। বাঘা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়া গত ও জাতের কারনেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা ও সত্য প্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে শেষ সময় পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। তিনি আরো বলেন ০৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে। এবার আমাদের উপজেলায় ১০৩৬১৫ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা। নিরাপদ আম উৎপাদনে উপজেলার বিভিন্ন আম চাষি কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তিতে প্রািশক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানান।