রাজশাহীর পবায় ঋণ নিতে ব্যাংকের ফাঁকা চেক জমা, সেই চেক দিয়েই মামলা

- আপডেট সময় : ১২:৫২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ২৭১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর পবায় ঋণ নিতে ব্যাংকের ফাঁকা চেক জমা, সেই চেক দিয়েই মামলা
রাজশাহীর পবায় মল্লিকা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড থেকে ঋণ নিতে জামানত হিসেবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি ফাঁকা চেকের পাতা জমা দেন অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম। কিন্তু সেই চেক ডিজঅনার করে অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওই সমবায় সমিতি। ভূক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম বলেন, মল্লিকা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি-সম্পাদক কৌশলে সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ লাখ টাকা চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করেছেন।
ভূক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিমের সাথে চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মল্লিকা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নাসিরুল ইসলাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল, চেক ডিজঅনার মামলার বাদী সোহরাব হোসেনকে অভিযুক্ত করে রাজশাহী বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও চেক উদ্ধারের জন্য সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯৮ ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার ঝুজকাই গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম পারিবারিক সমস্যার জন্য ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী পবা উপজেলার বসুয়া উত্তরপাড়া মল্লিকা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের নিটক হতে সমিতির দেয়া শর্তানুযায়ী ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এসবিএ ০৭৮৭৮১৮ নম্বর একটি ফাঁকা চেক জামানত হিসেবে জমা দিয়ে সপ্তাহিক কিস্তিতে ১ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন। যথারিতি কিস্তি পরিশোধ করে আসছিলেন। কিন্তু ১০ হাজার ৫৫০ টাকা বাকি থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে কিস্তি নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কেন কিস্তি নেওয়া বন্ধ করা হলো, জানতে চাইলে সমিতির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করতে থাকে। গত ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২ টার সময় কিস্তির টাকা পরিশোধ করে চেকের পাতা ফেরত চাইলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে।
আদালতে দায়েরকৃত প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে)। ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম বলেন, পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে সাক্ষীদের কাছে সঠিক তথ্য না নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে ভুক্তভোগীকে নানাভাবে হুমকি দামকি প্রদান করা হচ্ছে। অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।ভূক্তভোগী অটোরিকশা চালক আজিজুল হাকিম আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
এবিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই এস এম তারিকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালত থেকে প্রতিবেদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে ইতিমধ্যে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
মল্লিকা সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সভাপতি নাসিরুল ইসলাম রুবেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঋণ দেওয়া সময় আজিজুল হাকিমের কাছ থেকে কোন ব্যাংকের ফাঁকা চেক নেওয়া হয়নি। কিন্তু আজিজুল হাকিম আমাকে, চেক ডিজঅনার মামলার বাদিসহ সমিতির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।