রাজশাহীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী; রাস্তায় হাঁটুপানি, ঘর-বাড়িতেও ঢুকেছে পানি

- আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী; রাস্তায় হাঁটুপানি, ঘর-বাড়িতেও ঢুকেছে পানি
রাজশাহী নগরীতে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। হাঁটু পানিতে ভাসছে নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট। আবহাওয়াবিদ মো. রশিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহীতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারাদিনে ৫৬ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে অনেকের বাড়ি-ঘরেও ঢুকেছে পানি। বিশেষ করে শহরের নিম্নাঞ্চলে কিছু কিছু ঘর-বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে। পদ্মা আবাসিক এলাকা, তেরোখাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় হাঁটুপানি জমে গেছে। পানি থৈ থৈ করছে। নগরীর সড়ক ঘেঁষে থাকা ড্রেনের পয়ঃনিষ্কাশনের নোংরা পানি আর বৃষ্টি পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাজপথ। পানি নামতে না পারায় নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেবল আজই নয়, রাজশাহীতে ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাটি অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। একই অবস্থা দেখা দেয় নগরীর বহরমপুর এলাকার রাস্তাটিও। গত দুই বছর ধরে কয়েক হাজার কোটির টাকার উন্নয়ন হলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় ‘জলজট’ ও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি আজও। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার বর্ষা ছিল বৃষ্টিহীন। প্রকৃতির পালাবদলে শুভ্র শরতের অভিষেক ঘটেছে তাই বর্ষণেই। ভাদ্র শেষে আশ্বিনের নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা ভাসতে দেখা যায়নি। শোনা যাচ্ছে আষাঢ়-শ্রাবণের মতো কালো মেঘের গর্জন।
নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার আকবর হোসেন বলেন, কদিন পর পরই বৃষ্টি ঝরছে উত্তরের এ নগরে। আর তাই জলজট নিয়েও দুর্ভোগ কাটছে না নগরবাসীর। এতে স্বাভাবিক কাজকর্ম ও জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটছে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি রূপ নিয়েছে জনদুর্ভোগে। আশ্বিনের এ টানা বৃষ্টিতেই দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পথঘাট ডুবে যাওয়ায় মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পানির নিচে থাকা বিভিন্ন সড়কে খানা খন্দকের কারণে অনেক জায়গায় ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে।