ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে মিমাংসায় গিয়ে ফের বাস-সিএনজি শ্রমিকদের হাতাহাতি

এম এম মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৪:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে মিমাংসায় গিয়ে ফের বাস-সিএনজি শ্রমিকদের হাতাহাতি

রাজশাহীতে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষের ঘটনার মিমাংসায় যাওয়ার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দুইজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদের চেম্বারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের মিমাংসার জন্য বোয়ালিয়া থানার উপ-পুলিশ কশিশনার (ডিসি) আমাকে দায়িত্ব দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১ টার দিকে চেম্বারে আসার পর বাস শ্রমিকরা আসলেও সিএনজি চালকরা আসেনি। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর ৬০/৭০ জন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা মিছিল নিয়ে চেম্বারের সামনে এসে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখিকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালাকদের পক্ষে মহানগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মায়নুল হাসান হারুর নেতৃত্বে ৩/৪ জন বাস শ্রমিককে পিটিয়ে জখম করে। যাদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করাটা প্রয়োজন। তবে এভাবে একটা মিমাংসায় বাধা প্রদান ও মিমাংসার স্থানে মারামারি করা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। এখানে তৃতীয় পক্ষ নিজেদের খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এ ঝামেলাটা তারা সমাধান চাচ্ছে না। সেজন্যই তারা এ মিমাংসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি চাই আমি বাদে অন্যকারের মাধ্যমেও যদি তারা সমাধান নেয় তাহলে নিক তবুও দুই পক্ষের মধ্যে অতি দ্রুত মিমাংসা হোক ও স্বাভাবিক ভাবে সকলে গাড়ী চালাক।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মায়নুল হাসান হারুকে পাওয়া যায়নি। তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা মামুন ভাইয়ের ঢাকা আমরা গিয়েছিলাম মিমাংসার জন্য। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের বিরোধ মিমাংসার জন্য নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদকে বলা হয়েছিল। তিনি দুই পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখানেও দুই পক্ষ ঝামেলা করেছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও সেনাবানিহীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার তানোর উপজেলা সদরের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরা বাসের পাঁচজন চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে পিটিয়ে আহত করেন। এর জেরে পরের দিন বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৭০টি অটোরিকশা ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও তানোর রুটে বন্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে মিমাংসায় গিয়ে ফের বাস-সিএনজি শ্রমিকদের হাতাহাতি

আপডেট সময় : ০৪:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে মিমাংসায় গিয়ে ফের বাস-সিএনজি শ্রমিকদের হাতাহাতি

রাজশাহীতে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সংঘর্ষের ঘটনার মিমাংসায় যাওয়ার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দুইজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদের চেম্বারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের মিমাংসার জন্য বোয়ালিয়া থানার উপ-পুলিশ কশিশনার (ডিসি) আমাকে দায়িত্ব দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ১১ টার দিকে চেম্বারে আসার পর বাস শ্রমিকরা আসলেও সিএনজি চালকরা আসেনি। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর ৬০/৭০ জন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা মিছিল নিয়ে চেম্বারের সামনে এসে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখিকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালাকদের পক্ষে মহানগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মায়নুল হাসান হারুর নেতৃত্বে ৩/৪ জন বাস শ্রমিককে পিটিয়ে জখম করে। যাদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করাটা প্রয়োজন। তবে এভাবে একটা মিমাংসায় বাধা প্রদান ও মিমাংসার স্থানে মারামারি করা একটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি। এখানে তৃতীয় পক্ষ নিজেদের খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এ ঝামেলাটা তারা সমাধান চাচ্ছে না। সেজন্যই তারা এ মিমাংসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি চাই আমি বাদে অন্যকারের মাধ্যমেও যদি তারা সমাধান নেয় তাহলে নিক তবুও দুই পক্ষের মধ্যে অতি দ্রুত মিমাংসা হোক ও স্বাভাবিক ভাবে সকলে গাড়ী চালাক।

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করে মায়নুল হাসান হারুকে পাওয়া যায়নি। তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা মামুন ভাইয়ের ঢাকা আমরা গিয়েছিলাম মিমাংসার জন্য। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের বিরোধ মিমাংসার জন্য নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদকে বলা হয়েছিল। তিনি দুই পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখানেও দুই পক্ষ ঝামেলা করেছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও সেনাবানিহীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার তানোর উপজেলা সদরের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরা বাসের পাঁচজন চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে পিটিয়ে আহত করেন। এর জেরে পরের দিন বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৭০টি অটোরিকশা ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও তানোর রুটে বন্ধ রয়েছে।