রাজশাহীতে মাউশি পরিচালকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ১২:০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে মাউশি পরিচালকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের প্রধান ফটকের সামনে ‘সাধারণ ছাত্র জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এর আগে গত সোমবার একদল তরুণ ‘আমরা স্থানীয়’ পরিচয়ে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীর অফিসে গিয়ে অফিস ত্যাগ করার জন্য চাপ দেন। এ ঘটনার পর রাতেই রাজশাহী মহানগর বিএনপি মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট ও রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোরাব আলী পারভেজকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
মাউশি পরিচালক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে প্রাণনাশের হুমকি ও অফিস থেকে জোর করে বের করে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করে বলে জানায় নগর বিএনপি। পরে মঙ্গলবার আবুল কালাম আজাদ সুইট সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীকে কার্যালয় থেকে বের করার ঘটনায় তাঁর সমর্থন ছিল। তবে নগর বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তাঁকে অন্যায় করে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এরপর বুধবারের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন সাবেক যুবদল নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইটের অনুসারীরা। মানববন্ধনে সাবেক যুবদল নেতা আব্দুল কাদের, সাবেক ছাত্রদল নেতা তাকাবুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন বক্তব্য দেন। তারা মাউশির আঞ্চলিক পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জীসহ তাঁর দপ্তরের আরও কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা শিক্ষা ভবনে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপস করেননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। মাউশির পরিচালক ও কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী বলেন, সেদিন ২০-২৫ জন একটি বিশেষ দলের পরিচয় দিয়ে আমাকে নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলে। পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে শুরু করেন। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ আনেন তারা। তাদের চাপের মুখে আমি অফিস ছাড়তে বাধ্য হই। পরে তারা আমার অফিসে তালা দেয়। পরদিন সেনাবাহিনী তালা ভেঙে আমাকে অফিস খুলে দেয়।