ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার পঞ্চগড়ে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র উদ্বার, মাদক কারবারির ১ বছর কারাদণ্ড দেবীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেছে কৃষক নাটোরে জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ রাজশাহীতে অস্ত্র মামলার ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার দিনাজপুরে কেবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল রাণীনগরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত বাগাতিপাড়ায় ফারিয়া’র নির্বাচনে নিজের ভোটও না পাওয়া প্রার্থী এবার হলেন সভাপতি দরিদ্র্যতা দমাতে পারেনি জুঁইকে, এসএসসিতে পেলেন জিপিএ-৫, স্বপ্ন দেখেন ডাক্তার হওয়ার

রাজশাহীতে ভারি বৃষ্টিতে পদ্মায় ১১ জেলের নৌকা-জাল তলিয়ে গেছে

এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে ভারি বৃষ্টিতে পদ্মায় ১১ জেলের নৌকা-জাল তলিয়ে গেছে

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ভারী বৃষ্টিতে ১১জন জেলের জালসহ নৌকা পদ্মা নদীতে তলীয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার পর হঠাৎ করেই বৃষ্টির সাথে ঝড় বইতে শুরু করে। এতে করে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাটিকাটা দেওয়ান পাড়া এলাকায় পদ্মানদীর তীরে জেলেদের প্রায় শতাধিক নৌকা ঘাটে বাঁধা ছিলো। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে স্রোতের কবলে পড়ে প্রায় ১৫ জন জেলের নৌকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতিটি জেলে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা হলেন, মাদারপুর দেওয়াপড়া এলাকার সাইফুলের ছেলে আরমান ও সুরমান, আব্দুল বারীর ছেলে বাবু বাঘা, সফিকুল ইসলামের ছেলে মুরসালিন, আব্দুস সালামের ছেলে মহবুল ইসলাম, নইমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন, আতার উদ্দিনের ছেলে সুমন আলী, সেফান আলীর ছেলে মূলক চাঁন ও সাহাবুল, মতিউরের ছেলে কবির হোসেন ও শুকুরুদ্দীনের ছেলে কামাল উদ্দিন।

দেওয়ান পাড়া এলাকার জেলে জামাল উদ্দীন জানান, আমার জেলে জীবনে কোন বছর এমন পানি ও দক্ষিণা ঝড় দেখিনি। তবে এবার প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে নদী তীরে বাঁধা প্রায় ১৫টি নৌকা তলিয়ে গেছে। সকালে নদী তীরে এসে দেখি নৌকা গুলি নাই। পরে যেখানে নৌকা বাঁধা ছিলো সেখানে পানির নিচে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে স্রোতের তরে ভেসে গেছে যা আর পাওয়া সম্ভব না।

আরেক জেলে আরমান আলী বলেন, ২০ ফিটের প্রতিটি নৌকা তৈরীতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপর খরচ হয়। এছাড়াও জেলেরা ২০-৪৫ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের জাল, স্যালো ইঞ্চিনসহ নৌকার আনুসঙ্গিক খরচসহ প্রতিটি জেলের ২ লক্ষাধিক টাকার খরচ হয়েছে। যা জেলেদের নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা খুব মুশকিল।

জেলে মুরসালিন বলেন, আমরা এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে ও মাহজনদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে নৌকা- জাল বানিয়ে এই বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ ধরতে যায়। অন্যান্য সময় নদীতে মাছ তেমন পাওয়া না গেলেও এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি। এই মৌসুমে বেশী মাছ পাওয়ায় সারা বছরের ইনকাম কোন রকম হয়। তবে হঠাৎ এই ঝড়ে নৌকা গুলো পানির তলে হারিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। মাথায় এখন চিন্তা কি করে কিস্তি চালাবো ও মহাজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধ করবো। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোন সহযোগিতা পাওয়া যেতো তাহলে আমাদের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হতো।

গোদাগাড়ী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ কুমার মন্ডন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মাছ ধরার সময় কোন জেলে যদি আহত হয় সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা এবং নিহত হলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের নাম ঠিকানা দিলে কোন সুযোগ থাকলে তা দেখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে ভারি বৃষ্টিতে পদ্মায় ১১ জেলের নৌকা-জাল তলিয়ে গেছে

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

রাজশাহীতে ভারি বৃষ্টিতে পদ্মায় ১১ জেলের নৌকা-জাল তলিয়ে গেছে

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ভারী বৃষ্টিতে ১১জন জেলের জালসহ নৌকা পদ্মা নদীতে তলীয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার পর হঠাৎ করেই বৃষ্টির সাথে ঝড় বইতে শুরু করে। এতে করে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাটিকাটা দেওয়ান পাড়া এলাকায় পদ্মানদীর তীরে জেলেদের প্রায় শতাধিক নৌকা ঘাটে বাঁধা ছিলো। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে স্রোতের কবলে পড়ে প্রায় ১৫ জন জেলের নৌকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রতিটি জেলে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা হলেন, মাদারপুর দেওয়াপড়া এলাকার সাইফুলের ছেলে আরমান ও সুরমান, আব্দুল বারীর ছেলে বাবু বাঘা, সফিকুল ইসলামের ছেলে মুরসালিন, আব্দুস সালামের ছেলে মহবুল ইসলাম, নইমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন, আতার উদ্দিনের ছেলে সুমন আলী, সেফান আলীর ছেলে মূলক চাঁন ও সাহাবুল, মতিউরের ছেলে কবির হোসেন ও শুকুরুদ্দীনের ছেলে কামাল উদ্দিন।

দেওয়ান পাড়া এলাকার জেলে জামাল উদ্দীন জানান, আমার জেলে জীবনে কোন বছর এমন পানি ও দক্ষিণা ঝড় দেখিনি। তবে এবার প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে নদী তীরে বাঁধা প্রায় ১৫টি নৌকা তলিয়ে গেছে। সকালে নদী তীরে এসে দেখি নৌকা গুলি নাই। পরে যেখানে নৌকা বাঁধা ছিলো সেখানে পানির নিচে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ধারণা করা হচ্ছে স্রোতের তরে ভেসে গেছে যা আর পাওয়া সম্ভব না।

আরেক জেলে আরমান আলী বলেন, ২০ ফিটের প্রতিটি নৌকা তৈরীতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপর খরচ হয়। এছাড়াও জেলেরা ২০-৪৫ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন ধরনের জাল, স্যালো ইঞ্চিনসহ নৌকার আনুসঙ্গিক খরচসহ প্রতিটি জেলের ২ লক্ষাধিক টাকার খরচ হয়েছে। যা জেলেদের নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা খুব মুশকিল।

জেলে মুরসালিন বলেন, আমরা এনজিও থেকে কিস্তি নিয়ে ও মাহজনদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে নৌকা- জাল বানিয়ে এই বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ ধরতে যায়। অন্যান্য সময় নদীতে মাছ তেমন পাওয়া না গেলেও এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকি। এই মৌসুমে বেশী মাছ পাওয়ায় সারা বছরের ইনকাম কোন রকম হয়। তবে হঠাৎ এই ঝড়ে নৌকা গুলো পানির তলে হারিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। মাথায় এখন চিন্তা কি করে কিস্তি চালাবো ও মহাজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধ করবো। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোন সহযোগিতা পাওয়া যেতো তাহলে আমাদের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব হতো।

গোদাগাড়ী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ কুমার মন্ডন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মাছ ধরার সময় কোন জেলে যদি আহত হয় সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা এবং নিহত হলে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। তবে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের নাম ঠিকানা দিলে কোন সুযোগ থাকলে তা দেখা হবে।