ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে পদ্মা-বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে পদ্মা-বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নদী বাচলে দেশ বাচবে-আন্তসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার- প্রতিপদ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, রাজশাহী জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা‘র যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্বন ও সমাবেশে বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পদ্মা নদীর সঙ্গে অনেক শাখা নদী রয়েছে। পদ্মানদীসহ এসব নদীর পাড় দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা ক্রমেই এসব নদী দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, নদী মায়ের মতোই দেশের ভূমি, প্রকৃতি, গাছপালা, পশুপাখিসহ সবকিছুই প্রতিপালন করছে। অথচ দখল-দূষণসহ মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের নদীগুলো নানামুখী সংকটের মধ্যে পড়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক নদ-নদীর এখন রুগ্ন দশা। অন্যতম নদী পদ্মারও করুণ অবস্থা। বক্তারা বলেন, নদী নিয়ে একাধিকবার প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা অপরিকল্পিত হওয়ায় এবং দুর্নীতি ও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার অভাবে জনগণের অর্থ লুটপাট এবং অপচয় হয়েছে। বক্তারা বলেন, নদী বাচাতে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে নাটোরের লালপুর পর্যন্ত পদ্মানদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৬৮ টি স্লুইসগেট অচল হয়ে পড়েছে। এ কারনে বর্ষার মৌসুমে বন্যারমত দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করে বক্তারা বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে সময়মত পদ্মা নদীতে পানি থাকে না। বর্ষাতেও কাঙ্খিত পানি আসে না পদ্মায়। আবার শীত শুরুর আগেই পুরো নদী শুকিয়ে খালে পরিনত হয়। এ কারণে পদ্মার সব শাখা নদী ইতিমধ্যে মরেও গেছে। অস্তিত সংকটে পড়েছে চারঘাটের বড়াল। এসব নদী বাঁচাতে হবে। পানির ন্যায্য অধিকার দিতে হবে, পদ্মায় পানি প্রবাহ ফেরাতে হবে। বড়ালে পানি চাই, কৃষির জন্য পানি চাই। নদ-নদী বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিপন্ন কৃষিকে বাচাতে নদী খনন করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

স্বেচ্চাসেবী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সহ সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা রাজশাহী জেলার সভাপতি ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক ও সোনারদেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, কেন্দ্রিয় সদস্য আফজাল হোসেন, বাপা-জেলা শখার ক্রিড়া সম্পাদক গোলাম নবী রনি, সোনিয়া বেগম, রোমানা সিদ্দিকা, সমাজকর্মী অপূর্ব শাখা, নারী নেত্রী সেলিনা বেগম, ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি আঞ্জুমান আরা, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউটের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে পদ্মা-বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:২৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে পদ্মা-বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নদী বাচলে দেশ বাচবে-আন্তসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার- প্রতিপদ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা, রাজশাহী জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা‘র যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্বন ও সমাবেশে বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পদ্মা নদীর সঙ্গে অনেক শাখা নদী রয়েছে। পদ্মানদীসহ এসব নদীর পাড় দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা ক্রমেই এসব নদী দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, নদী মায়ের মতোই দেশের ভূমি, প্রকৃতি, গাছপালা, পশুপাখিসহ সবকিছুই প্রতিপালন করছে। অথচ দখল-দূষণসহ মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের নদীগুলো নানামুখী সংকটের মধ্যে পড়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক নদ-নদীর এখন রুগ্ন দশা। অন্যতম নদী পদ্মারও করুণ অবস্থা। বক্তারা বলেন, নদী নিয়ে একাধিকবার প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা অপরিকল্পিত হওয়ায় এবং দুর্নীতি ও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার অভাবে জনগণের অর্থ লুটপাট এবং অপচয় হয়েছে। বক্তারা বলেন, নদী বাচাতে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে নাটোরের লালপুর পর্যন্ত পদ্মানদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৬৮ টি স্লুইসগেট অচল হয়ে পড়েছে। এ কারনে বর্ষার মৌসুমে বন্যারমত দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করে বক্তারা বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে সময়মত পদ্মা নদীতে পানি থাকে না। বর্ষাতেও কাঙ্খিত পানি আসে না পদ্মায়। আবার শীত শুরুর আগেই পুরো নদী শুকিয়ে খালে পরিনত হয়। এ কারণে পদ্মার সব শাখা নদী ইতিমধ্যে মরেও গেছে। অস্তিত সংকটে পড়েছে চারঘাটের বড়াল। এসব নদী বাঁচাতে হবে। পানির ন্যায্য অধিকার দিতে হবে, পদ্মায় পানি প্রবাহ ফেরাতে হবে। বড়ালে পানি চাই, কৃষির জন্য পানি চাই। নদ-নদী বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিপন্ন কৃষিকে বাচাতে নদী খনন করার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

স্বেচ্চাসেবী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সহ সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা রাজশাহী জেলার সভাপতি ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক ও সোনারদেশের সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, কেন্দ্রিয় সদস্য আফজাল হোসেন, বাপা-জেলা শখার ক্রিড়া সম্পাদক গোলাম নবী রনি, সোনিয়া বেগম, রোমানা সিদ্দিকা, সমাজকর্মী অপূর্ব শাখা, নারী নেত্রী সেলিনা বেগম, ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি আঞ্জুমান আরা, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউটের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রন প্রমুখ।