ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির উদ্বোধন মোহনপুরে ফিড মিলে বিস্ফোরণ, আহত ৪ বাগাতিপাড়ায় পূজামন্ডপ পরিদর্শণ করলেন জামায়াত নেতারা আরও ৫দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা ডাবলু; বিক্ষুব্ধ জনতার ডিম, ইট ও কাদা নিক্ষেপ নাটোরে স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে রায়পুরায় পূজামণ্ডপে ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নাটোরে পূজা মন্দির পরিদর্শনে ভারতী সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’ নামে সর্বদলীয় ঐক্যের আত্মপ্রকাশ গুরুদাসপুরে বেতন ভাতা আটকে রাখার অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! বাগাতিপাড়ায় নর্দমায় পড়ে প্রাণ গেলো শিশু ছামাদের

রাঙামাটিতে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে মেতেছিল হাজারো তরুণ-তরুণী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাঙামাটিতে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে মেতেছিল হাজারো তরুণ-তরুণী!

মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পুরাতন বছরের সকল দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজরো নারী-পুরুষ সমবেত হয়েছেন। আর এ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সপ্তাহ ব্যাপী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংক্রাইং, বৈসুক, বিষু,বিহু এর সমাপ্তি ঘটলো। মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল দুপুরে মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটির চিংহ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম মাঠে ঐতিহ্যবাহি এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। জল উৎসবের উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী ত ঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ও রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অ লের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

জল উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, সাংগ্রাই উৎসব শুধু মারমা সম্প্রদায়ের নয় এই উৎসব সকলের। এ উৎসব এ এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

মারমারা পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাই-এর এই জল উৎসব করে থাকে। মারমা তরুণ-তরুণীরা এই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী মং (ঘন্টা) বাজিয়ে ও ফিতা কেটে জল উৎসবের উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার এমপি।
এর পর বাঁশি বাজার সাথে সাথে শুরু হয় ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুন-তরুনীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এতে বিগত বছরের সকল পাপ ও জরাজীর্ণ ধুয়ে-মুছে যায় বলে তাদের বিশ্বাস। পাশাপাশি চলে মারমা সম্প্রদায়েরর শিল্পীগোষ্ঠীর নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষনীয় পানি খেলা দেখার জন্য হাজারো নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন। উৎসবে দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকসহ পাহাড়ি-বাঙালীর মিলন মেলায় পরিণত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাঙামাটিতে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে মেতেছিল হাজারো তরুণ-তরুণী!

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রাঙামাটিতে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে মেতেছিল হাজারো তরুণ-তরুণী!

মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি প্রতিনিধি:
পুরাতন বছরের সকল দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ধুয়ে-মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজরো নারী-পুরুষ সমবেত হয়েছেন। আর এ উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সপ্তাহ ব্যাপী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংক্রাইং, বৈসুক, বিষু,বিহু এর সমাপ্তি ঘটলো। মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল দুপুরে মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটির চিংহ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম মাঠে ঐতিহ্যবাহি এই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। জল উৎসবের উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।

মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী ত ঙ্গ্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উদ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ও রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, বৈসাবী উৎসব পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন না। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই উৎসব। এটা শুধু সাংস্কৃতিক উৎসবই নয়। এটাতে ধর্মীয় অনুভুতিও জড়িত। এদিন মুরব্বীদের কাছ থেকে আশির্বাদ চাওয়া হয়। তাই এটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় উৎসবও। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সকল ভাষাভাষী ও সকল ধর্মের লোক সম্প্রীতির ঐক্যের বন্ধনে একই ছাতার নিচে বসবাস করবেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন- লক্ষ্য একটাই- বাংলাদেশের জাতি, সকল ভাষাভাষি গোষ্ঠী, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে যেন ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি হয়। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমান করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সামিল করার ক্ষেত্রে সকলকে অনন্য ভূমিকা রাখার প্রতিও আহ্বান জানান পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, পার্বত্য অ লের ঐতিহ্যবাহি উৎসব সাংগ্রাইয়ের সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যবোধ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পাহাড়ে সবাই যেন ভালো থাকে।

জল উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, সাংগ্রাই উৎসব শুধু মারমা সম্প্রদায়ের নয় এই উৎসব সকলের। এ উৎসব এ এলাকায় বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

মারমারা পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাই-এর এই জল উৎসব করে থাকে। মারমা তরুণ-তরুণীরা এই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী মং (ঘন্টা) বাজিয়ে ও ফিতা কেটে জল উৎসবের উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার এমপি।
এর পর বাঁশি বাজার সাথে সাথে শুরু হয় ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুন-তরুনীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এতে বিগত বছরের সকল পাপ ও জরাজীর্ণ ধুয়ে-মুছে যায় বলে তাদের বিশ্বাস। পাশাপাশি চলে মারমা সম্প্রদায়েরর শিল্পীগোষ্ঠীর নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষনীয় পানি খেলা দেখার জন্য হাজারো নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন। উৎসবে দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকসহ পাহাড়ি-বাঙালীর মিলন মেলায় পরিণত হয়।