রাঙামাটিতে ন্যায্যমূল্যের খোলা বাজার উদ্বোধন

- আপডেট সময় : ১২:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
রাঙামাটিতে ন্যায্যমূল্যের খোলা বাজার উদ্বোধন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারন জনগনের নাগালে রাখতে রাঙামাটিতে ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই খোলা বাজারে কেজি প্রতি ১০-৩০ টাকা কমে কিনতে পারছেন লোকজন। সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি কিনতে সেখানে ভীড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় রাঙামাটি পৌরসভা মার্কেট প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও বাজার টাস্কফোর্সের আয়োজনে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচালনায় ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শামীম হোসেন, পৌরসভা সচিব কাজি আতিকুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাঙ্গামাটির সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শাকিল, আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ যাতে শাক-সবজি কিনতে পারে তার জন্য এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় বাজার থেকে এখানে তুলনামূলক দাম কম রাখা হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এবং জনগনের চাহিদা অনুযায়ী এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বাজারে উচ্চমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। এতদিন ফায়দা লুটছে এখন থেকে আর পারবে না। ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এই ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে। আর আমরা আরত থেকে এইসব পন্য সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করেও বাজারের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে সবকিছু বিক্রি করা হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ায় ক্রেতাদের স্বস্তি দিতেই ক্ষুদ্র পরিসরে এই আয়োজন। আশা করি এই উদ্যোগের ফলে মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি কিনতে সেখানে ভিড় করেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। আর সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। বাজার থেকে সব সবজির দাম এখানে কম। ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে রয়েছে ডিম, আলু, বেগুন, বরবটি, পটল, লাউ, শসা, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সব্জি। আর ন্যায্যমূল্যে খোলা বাজারে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষরা যার যার প্রয়োজনী সামগ্রী কিনতে পারছেন। এমন উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ক্রেতারা।