ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনপুরে চেয়ারম্যান-ইউএনও-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

collected

চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোহনপুরে চেয়ারম্যান-ইউএনও-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউএনও, প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মোহনপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের ওহাব আলীসহ বাকশিমইল ও সইপাড়া গ্রামের কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার এ তদন্ত কাজ শুরু করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, উপজেলা সাবেক প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম, বর্তমান প্রকৌশলী নুরনাহার ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মিলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ টাকা সামান্য কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক আজিজুর রহমানের যোগসাজশে চলতি বছরের গত ২ এপ্রিল অফিস সহায়ক শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে মোহনপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। এইকভাবে গত ১৫ মে আরও ১০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেই।

উপজেলা চত্তরে মেইল রাস্তা সিসিকরণ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ’ টাকা। ওই কাজটি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের যোগসাজশে প্রকৌশলী নিজেই ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে মাত্র ৩ দিনে কাজ শেষ করে। বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের উপজেলা চত্বরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আগাছা পরিষ্কারের নামে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ও বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী নুরনাহার মিলে গোপনে নিজেরাই ঠিকাদার সেজে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি করে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তদন্ত তদন্ত কর্মকর্তা (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোহনপুরে চেয়ারম্যান-ইউএনও-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোহনপুরে চেয়ারম্যান-ইউএনও-প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউএনও, প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মোহনপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের ওহাব আলীসহ বাকশিমইল ও সইপাড়া গ্রামের কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার এ তদন্ত কাজ শুরু করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, উপজেলা সাবেক প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম, বর্তমান প্রকৌশলী নুরনাহার ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মিলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ টাকা সামান্য কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক আজিজুর রহমানের যোগসাজশে চলতি বছরের গত ২ এপ্রিল অফিস সহায়ক শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে মোহনপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। এইকভাবে গত ১৫ মে আরও ১০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেই।

উপজেলা চত্তরে মেইল রাস্তা সিসিকরণ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ’ টাকা। ওই কাজটি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের যোগসাজশে প্রকৌশলী নিজেই ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে মাত্র ৩ দিনে কাজ শেষ করে। বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের উপজেলা চত্বরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আগাছা পরিষ্কারের নামে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ও বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী নুরনাহার মিলে গোপনে নিজেরাই ঠিকাদার সেজে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি করে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তদন্ত তদন্ত কর্মকর্তা (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।