মোহনপুরে আ.লীগ অফিসসহ থানা, ভুমি অফিস, পৌর ভবন ও মার্কেটে হা ম লা, ভাং চু র ও অ গ্নি সং যো গ
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
মোহনপুরে আ.লীগ অফিসসহ থানা, ভুমি অফিস, পৌর ভবন ও মার্কেটে হা ম লা, ভাং চু র ও অ গ্নি সং যো গ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে চলা অবস্থায় রাজশাহীর মোহনপুরে আওয়ামী লীগ অফিস, থানা, ভূমি অফিস ও মার্কেটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মোহনপুর পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভুমি অফিস ও একটি মার্কেট ও কেশরহাট পৌরসভা ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।
রোববার (৪ আগস্ট) চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে মোহনপুর সরকারি কলেজ গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে মোহনপুর বাজারে আসতে থাকে। আন্দোলন চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এসকল ঘটনা ঘটায়। এসময় এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়।
জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা মোহনপুর উপজেলার একদিল তলা হাটে জড়ো হতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। স্থানীয়রা বলেন, প্রথমে মোহনপুর থানা-সংলগ্ন দোকানপাটে আগুন দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা থানার ভেতরে ঢুকে আগুন দেন পুলিশের চারটি গাড়িসহ মোটরসাইকেল গ্যারিজে আগুন দেয়। এতে পুলিশের চারটি গাড়িসহ মোটরসাইকেল গুলো পুড়ে যায়। একইভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় আশপাশের এলাকা একেবারে ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায়। এরপর তাঁরা উপজেলা সদর থেকে মোহনপুর পৌর এলাকার দিকে চলে যান। কেশরহাটে গিয়ে কেশরহাট পৌরসভা ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে। সেখানে কেউ তাঁদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেনি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসছেন, এমন খবর পেয়েই পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের কেউ প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসেনি। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা মোহনপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।তারপর মোহনপুর থানায় হামলা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে সরে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা থানার মধ্যে ঢুকে ভাংচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। একই সাথে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় তারা।
এদিকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করে তারা। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। পরে কেশরহাট পৌরসভার ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।