মহাদেবপুরে সড়ক ও জনপদের মেরামত কাজে অনিয়ম
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে।
গত বর্ষা মওসুমে নওগাঁ-মহাদেবপুর-পত্নীতলা-ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের স্থানে স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেগুলোতে পানি জমে কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে থাকে।
মহাদেবপুর উপজেলা সদরের আখেড়া, বাসস্ট্যান্ড, ঘোষপাড়া মোড়, হাসপাতাল মোড়, লিচুতলা থেকে ব্র্যাকমোড় পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুণ। এই সড়কে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দূর্ঘটনা ঘটতো।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগ এই সড়কের ভাঙ্গা অংশে মাটি ফেলে উঁচু করে ইট দিয়ে হেরিংবন্ড করার কাজ শুরু করে। কিন্তু এই কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা সদরের বরেন্দ্র মোড় এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হেরিং বন্ড করার জন্য যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিন্মমানের। নিচের এক ইটের যে সোলিং দেয়া হচ্ছে তা গায়ে গায়ে ঘেঁষে না দিয়ে একটি থেকে অন্যটি কয়েক ইঞ্চি পর পর সাজানো হয়েছে। ইট সাজানোর কাজ করছিলেন অসংখ্য লেবার। তাদের মধ্যে নিজেকে সরদার বলে পরিচয় দিলেন নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে চঞ্চল মন্ডল।
তিনি জানান, ভাঁটায় ১নং ইটের যোগান না থাকায় তারা এই ইট ব্যবহার করছেন। অপর মিস্ত্রি নওগাঁ সদর উপজেলার বাচারীগ্রাম গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন জানালেন, সোলিংয়ে বালু দিয়ে জয়েন্টের জন্য প্রতিটি ইটের মাঝে ২ ইঞ্চি করে ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ভূল করে ৩ ইঞ্চি করে ফাঁকা রেখেছেন। তিনি জানান, ঠিকাদার যে ইট সরবরাহ করেছে, তাই দিয়ে তারা কাজ করছেন। তবে যারা দেখবেন তারাই বলবেন যে এটা ১নং ইট নয়।
মোবাইল ফোনে ঠিকাদার মাসুদ জানান, কাজে যেগুলো ভূল হয়েছে সেগুলো ঠিক করা হবে।
সওজ এর পত্নীতলা উপ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর আহমেদ জানান, এই উপ বিভাগের আওতায় বেশ কয়েক জায়গায় কাজ চলছে। ফলে তিনি ইচ্ছা করলেও সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারেন না। তবে ঠিকাদার কাজ খারাপ করলে তার বিল দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
নওগাঁ জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয়রা জানান, নিন্মমানের কাজের অভিযোগে শুক্রবার বিকেলে তারা কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকেরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার অব্যাহত রেখে শনিবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু করেন।