মহাদেবপুরে জমির দখল নিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা
- আপডেট সময় : ১২:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মহাদেবপুরে জমির দখল নিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ফলে তিনটি পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে তারা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে কোন রকমে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী লাউডাং গ্রামের মৃত লায়েব আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার অভিযোগ করেন যে, ১৯৮৫ সালের বন্যার পর তার জমিতে বাড়ি তৈরি করে দুথছেলের পরিবারসহ তিনটি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তার বাড়ি সংলগ্ন খলিয়ানে তার লাগানো বাঁশের ঝাড়ও আছে। কিছুদিন আগে তার প্রতিবেসি আজাহার আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম খলিয়ানের জমি তার দাবি করে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ আব্দুল জব্বারকে ডেকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। জমির মাপজোকও হয়। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিপক্ষরা বাঁশের বেড়া দিয়ে খলিয়ানের জমি ঘিরে নেয়। এর প্রতিকার চেয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে গ্রামের মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু কেউ তার দরজা খুলে দেয়ার কোন উদ্যোগ নেয়নি।
তার ছেলে মিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, খলিয়ান ঘিরে রাখায় সেখানে রাখা তার ভুটভুটি বের করতে পারছেন না।
সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দরজা ঘেঁষে বেড়া দেয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। বেড়া দেয়ার কথা স্বীকার করে প্রতিপক্ষ ফরিদা বেগম দম্ভ করে বলেন, দরজা বন্ধ করে ঠিক কাজটিই করেছেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তিনি এই বেড়া দিয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে আব্দুল জব্বার ওই দুটি দরজা ব্যবহার করছেন এবং মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তিনি তা ঘিরে বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কোন স্থাপনা করতে কয়েক ফুট জায়গা ফাঁকা রাখতে হয় এমন কথা তিনি মানেন না।
ইউপি সদস্য পরিমল কুমার ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বার বার অনুরোধ করেও বেড়া সরাতে ফরিদা বেগমকে রাজি করাতে পারেননি বলেও জানান।
মহাদেবপুর থানার এএসআই মনিরুজ্জামান জানান, ফরিদা বেগম তার জমির দখল পেতে মহাদেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। জমির মাপজোক করা হয়। কিন্তু তাকে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে পরামর্শ দেয়া হয়নি। বরং দুদিন আগে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।
একটি দেওয়ানি বিষয় নিয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশের তৎপরতা এবং তিন সপ্তাহ ধরে তিনটি পরিবার প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে থাকার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দারুন বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।