বড় ভাই কে হত্যা চেষ্টার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি ছোট ভাইয়ের
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১ ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
বড় ভাই মান্নান কে হত্যা চেষ্টার অভিযুক্তদের অতিসত্বর গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠু বিচারের দাবি ছোট ভাই হান্নানের।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়ার বিহারকোল বাজারে অস্থায়ী খুচরা পাকা কলা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান কে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৩জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুল হান্নান।
ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান (৫৮) ও অভিযোগকারী আব্দুল হান্নান (৫৬) উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পূর্ব স্বরাপপুর গ্রামের মোঃ আবু তাহেরের ছেলে।
আর অভিযুক্তরা হলো- উপজেলার সোনাপাতিল মহল্লার মৃত আবুল কাশের ছেলে মোঃ সেলিম (৪০), পাঁকা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সোবহান আলীর ছেলে মজনু (৫০) ও ওই গ্রামের মৃত দেরাজ উদ্দিনের জামাতা মোঃ মোবারক হোসেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিহারকোল বাজারের অস্থায়ী পাকা কলা বিক্রেতা মান্নানের ৩০০ টাকার কলা নিয়ে দাম না দিয়েই অভিযুক্তরা চলে যাচ্ছিল। এ সময় সে তাদের কাছে কলার দাম চায়লে তাকে টাকা না দিয়ে উপরন্তু গালিগালাজ করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে মান্নানের কলা কাটার হাসুয়া দিয়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে সেটা মান্নানের গলার বামপাশে লাগে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে মান্নানকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তারা। বর্তমানে সে বাগাতিপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্ত সেলিম, মজনু আলী ও মোবারক তারা সবাই মাদকাসক্ত এবং ঘটনার সময় তারা নেশাগ্রস্ত ছিলো বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ ঘটনার তিব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিহারকোল বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ তিতুমীর বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল গনী সহ ওই বাজারের দোকান এবং ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দিকে মৌখিকভাবে সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করেন অভিযোগকারী আব্দুল হান্নান।
ঘটনা ও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম চ্যানেল এ নিউজ কে বলেন, অভিযুক্তরা পলাতক আছে। তাদেরকে আটকের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে থানা পুলিশ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আশা হবে বলে জানান তিনি।