বৃষ্টির আশায় বাগাতিপাড়ায় পৃথক দুটি স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়!
- আপডেট সময় : ১১:১০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টির আশায় বাগাতিপাড়ায় পৃথক দুটি স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফজলুর রহমানঃ
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দুটি পৃথকস্থানে মহান আল্লাহর দরবারে ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় ও মোনাজাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ১০ টায় পৌরভবন সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে বাগাতিপাড়া ইমাম সমিতির সভাপতি ও পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদরাসা সহ-সুপার এ কে এম আফজাল হোসেনের ইমামতিত্বে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিগরি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ আদায় করা হয়। ঐ নামাজে কাজীপাড়া মাদরাসার মওলানা শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক নামাজের ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। উভয়স্থানে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া প্রার্থনা ও মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচন্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করা হয়।
পৌরভবন সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে নামাজ শেষে উপস্থিত পেড়াবাড়িয়া মহল্লার ৭৫ বছরের বৃদ্ধ কৃষক বাহারউদ্দিন ওরফে বাগু আলী বলেন, বৃষ্টি-বাদল নেই। খুব তাপ, কলে পানি উঠছে না, ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেছেন, আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর পূর্বে একবার নামাজ পড়ে দোয়া করতেই বৃষ্টি চলে এসেছিল, সেই আশায় আল্লাহর নিকট আজকে প্রার্থনা করেছি।
পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। যতই পাপী হোক না কেন? আল্লাহতালা রহমানুর রহিম, তার রহমতের বৃষ্টি তারা আমাদের সাহায্য অবশ্যই করবেন, তাই আল্লাহর নিকট ইসতেস্কার নামাজ পড়ে দোয়া করলাম।
পৌর মেয়র একেএম শরিফুল ইসলাম লেলিন বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ প্রাণিকুল কষ্টে আছে। ইসতিসকার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করে সবাই দোয়া করেছেন।
এদিকে জিগরি মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজের ইমাম দয়ারামপুর কাজিপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।