ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগমারায় বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন দখল নিতে মরিয়া জেএমবি ক্যাডাররা মান্দায় স্ত্রীকে পি/টি/য়ে হ-ত্যা, স্বামী পলাতক  রায়পুরায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল মহাপরিচালকের পদত্যাগ ও সব পদে নার্সদের পদায়নের দাবিতে বাগাতিপাড়ায় মানববন্ধন ছাত্র আন্দোলনে ২ হাতে ২ পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থীদের গুলি করে যুবলীগ নেতা রুবেল আলমগীর হোসেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা সাতক্ষীরার তালায় ৩৩ বিঘা জলমহাল বেদখল, ৪০ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটে বিশ্বাসী নয় জামায়াত-অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনঃ রাজশাহী কলেজে নিয়োগ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি নতুন অধ্যক্ষ

বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরা মহা উৎসব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১ ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সুক নদীর বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার মহা উৎসব; এতে অংশ ‍নিচ্ছে জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রতি বছর কার্তিক মাসের প্রথমদিনে এ উৎসব হয়।
সোমবার (১৮অক্টোবর) সকালে দিকে উপজেলার আকচা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ এলাকায় এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খালিদুজ্জামান বলেন, “৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।”
সরেজমিনে দেখা যায়, মাছ ধরতে জাল, খইয়া জাল, পলো ও মাছ রাখার খালুই নিয়ে গ্রাম ও শহরসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ মাছ ধরার উৎসবে যোগ দিয়েছে। আবার কেউ কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আর মাছ ধরার এই দৃশ্য এক পলক দেখতে নদীর চারপাশে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ।
সব মিলে বুড়ির বাঁধ এলাকা পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়।
বীরগঞ্জ থেকে মাছ ধরতে এসেছেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এর আগের বছরও এখানে এসেছিলাম মাছ ধরতে, ঠিক এবারও এসেছি। আমার সঙ্গে এলাকার আরও কয়েক জন এসেছে। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৫ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ ধরেছি।”
সদরের রুহিয়া এলাকার বাপ্পারাজ ইসলাম বলেন, “এ বছর এই বাঁধে গতবারের তুলনায় মাছের পরিমাণ কম। জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার মাছ প্রেমিরা দলে দলে এসেছে মাছ ধরতে। বুড়িরবাঁধ এলাকা মাছ ধরার উৎসবে পরিণত হয়েছে।”
বাঁধ এলাকায় মাছ কিনতে আসা মাছের পাইকার মেডেল আলী জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মাছপ্রেমি মাছ ধরতে এসেছে। অনেকেই আবার মাছ ধরে বিক্রি করছেন। যারা মাছ বিক্রি করছেন তাদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করতেছি। পরে এ মাছ গুলো বাজারে বিক্রি করব।বালিয়াডাঙ্গী থেকে মাছ কিনতে আসা নাজির উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতেই শুনেছি বুড়িরবাঁধে মাছ ধরা হচ্ছে। তা শুনেই সকাল সকাল বন্ধুদের সাথে এসেছি মাছ কিনতে। এখান থেকে দেশী প্রজাতির ৩ কেজি মাছ কিনলাম ৬শত টাকা দিয়ে। এলাকায় পুকুরে মাছ ধরতে দেখছ কিন্তুু নদীতে এমন করে মাছ ধরার দৃশ্য এর আগে কখনও চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আক্চা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, “প্রত্যেক বছরের কার্তিক মাসের প্রথম দিনে বুড়িরবাঁধের জমানো পানি ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরা মহা উৎসব

আপডেট সময় : ০৩:৩১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

আলমগীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সুক নদীর বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার মহা উৎসব; এতে অংশ ‍নিচ্ছে জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। প্রতি বছর কার্তিক মাসের প্রথমদিনে এ উৎসব হয়।
সোমবার (১৮অক্টোবর) সকালে দিকে উপজেলার আকচা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ এলাকায় এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খালিদুজ্জামান বলেন, “৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর উপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।”
সরেজমিনে দেখা যায়, মাছ ধরতে জাল, খইয়া জাল, পলো ও মাছ রাখার খালুই নিয়ে গ্রাম ও শহরসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ মাছ ধরার উৎসবে যোগ দিয়েছে। আবার কেউ কেউ হাত দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আর মাছ ধরার এই দৃশ্য এক পলক দেখতে নদীর চারপাশে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ।
সব মিলে বুড়ির বাঁধ এলাকা পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়।
বীরগঞ্জ থেকে মাছ ধরতে এসেছেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “এর আগের বছরও এখানে এসেছিলাম মাছ ধরতে, ঠিক এবারও এসেছি। আমার সঙ্গে এলাকার আরও কয়েক জন এসেছে। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৫ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ ধরেছি।”
সদরের রুহিয়া এলাকার বাপ্পারাজ ইসলাম বলেন, “এ বছর এই বাঁধে গতবারের তুলনায় মাছের পরিমাণ কম। জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার মাছ প্রেমিরা দলে দলে এসেছে মাছ ধরতে। বুড়িরবাঁধ এলাকা মাছ ধরার উৎসবে পরিণত হয়েছে।”
বাঁধ এলাকায় মাছ কিনতে আসা মাছের পাইকার মেডেল আলী জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মাছপ্রেমি মাছ ধরতে এসেছে। অনেকেই আবার মাছ ধরে বিক্রি করছেন। যারা মাছ বিক্রি করছেন তাদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করতেছি। পরে এ মাছ গুলো বাজারে বিক্রি করব।বালিয়াডাঙ্গী থেকে মাছ কিনতে আসা নাজির উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতেই শুনেছি বুড়িরবাঁধে মাছ ধরা হচ্ছে। তা শুনেই সকাল সকাল বন্ধুদের সাথে এসেছি মাছ কিনতে। এখান থেকে দেশী প্রজাতির ৩ কেজি মাছ কিনলাম ৬শত টাকা দিয়ে। এলাকায় পুকুরে মাছ ধরতে দেখছ কিন্তুু নদীতে এমন করে মাছ ধরার দৃশ্য এর আগে কখনও চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আক্চা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, “প্রত্যেক বছরের কার্তিক মাসের প্রথম দিনে বুড়িরবাঁধের জমানো পানি ছেড়ে দেওয়া হয় এবং মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।