বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে শিক্ষার্থী; শিক্ষক অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!

- আপডেট সময় : ১১:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে শিক্ষার্থী; শিক্ষক অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!
নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে শিক্ষার্থী; শিক্ষক অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন! রাণীশংকৈলের সুনামধন্য পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী ও দৌশিয়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (কুয়াশা)’র অপসারণ চেয়ে স্কুলের সামনে মানব বন্ধন করেছে ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
তাদের দাবি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তৌহিদুল। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে নিয়মিত শারিরীক সম্পর্কও স্থাপন করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করে নারী লোভী যৌতুক লোভী শিক্ষক তৌহিদুল ও তার পরিবার। এই খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেন। এসময় তৌহিদুলের পরিবারের লোকজন ঐ ছাত্রীকে নির্যাতন করেন। এসময় সহপাঠীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও অনেক নির্যাতন মারধোর করা হয় বলে জানান স্কুলের শিক্ষার্থীরা।পরে নিরুপায় হয়ে বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে পাইলট স্কুলের দক্ষিণ গেটের সামনে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিশিল নিয়ে রাজবাড়ী জয়কালী বাজার দিয়ে পৌর শহরের প্রধান সড়ক হয়ে আবার উপজেলা ভেটের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন শ্লোগানের মাধ্যমে তৌহিদুলের অপসারণ চান এবং ছাত্রীরা বলেন আমরা মেয়েরা নিজেরাও সেই শিক্ষকের হাত থেকে নিরাপদ নয় তাই যত তারারাড়ি সম্ভব তাকে অপসারণ করে আমাদের যেন স্কুল কমিটি আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।
সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের অবিভাবক রা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গণ বলেন এমন শিক্ষক সেই স্কুলে থাকলে আমরা সব সময় দুশ্চিন্তায় ভুগবো আমাদের সন্তানদের নিয়ে।তাই এমন লম্পট শিক্ষক কে চিরতরে বহিষ্কার না করলে আমারাও আমাদের সন্তানদের সেই প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো না।
এবিষয়ে পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিনিধি কে জানান,বিষয় টি আমি আগে জানতাম না এখন যেনেছি এবং শুনেছি এখন এটির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন কতবো।
এবিষয়ে আরো রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিয়ে দেখা হবে।