বাণিজ্যিক ভাবে ফুলের চাষ করে লাভবান চাষীরা
- আপডেট সময় : ০১:১৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৮৭ বার পড়া হয়েছে
বাণিজ্যিক ভাবে ফুলের চাষ করে লাভবান চাষীরা
নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাণিজ্যিক ভাবে ফুলের চাষ করে লাভবান চাষীরা। ভালোবাসার প্রতিক ফুল৷ শ্রদ্ধা নিবেদন, অভ্যর্থনা আর একে অন্যের প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ফুল এক অন্যন্য দৃষ্টি স্থাপন বিশ্বে৷ আর সারা বছর অপেক্ষা করে ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪ তারিখ কে ঘিরে ফুলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশী দেখা যায়৷ এ মাসেই ফুলের দিবস আর ভালবাসা দিবস নামক দুটি দিন রয়েছে৷ আর এ মাসকে ঘিরে ফুল চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনে ফুল চাষীরা।
সেই স্বপ্ন কে বাস্তবে রুপ দিতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম বারের মত বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে নানা ধরনের ফুল চাষ। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বেশকিছু জাতের ফুল উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ফুল চাষীরা ও ব্যবসায়ীরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকজন উদ্যোক্তা ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি ফুল চাষকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান।
জেলার বিভিন্ন নার্সারি ঘুরে দেখা যায়, নার্সারী পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে কিছু ফুল চাষ ও চারা উৎপাদন করে জেলার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশী লাভের আশায় কৃষকরা এখন ফুল চাষের দিকে ঝুকে পড়েছেন। তাদের দেখে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যান্য এলাকার ফুল প্রেমী মানুষেরা।
এছাড়া ফুলের উৎপাদন ভাল হওয়ায় আশপাশের অন্যান্য চাষিরা আগ্রহী হয়ে উদ্যোক্তাদের কাছে নিচ্ছেন পরামর্শ। আর রং বেঙেয়ের নানা জাতের চাষা বাদকৃত ফুটন্ত ফুল ও ঘ্রাণ নিতে ছুটে আসছেন অনেকেই।
ফুল চাষী নাসিমুল আলম আমাদের প্রতিনিধি কে জানান, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের উন্নত মানের ফুল চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের যত্নে চাষাবাদকৃত চোখ জুড়ানো ফুটন্ত এসব ফুল দ্রুতই বেড়ে উঠছে। সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের কদর থাকায় একটা সময় অন্যান্য জেলা থেকে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরন করা হলেও এখন নিজ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফুল।
ফুলের বাগান দেখতে আসা মাশহুর রহমান মাসুদ বলেন,আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ফুলের বাগানটির খবর পাই৷ পাওয়ার পর খুব ইচ্ছে হয় স্বচক্ষে দেখার তাই এসেছি৷ দেখার পর আলাদা একরকম প্রশান্তি অনুভব করলাম৷
আরেক দর্শনার্থী রিপন আহমেদ বলেন,ফুল চাষ করা আমার খুব শখ৷ তাই ফুলের বাগানটি দেখতে এসেছি। শখ পূরণের পাশাপাশি লাভবান হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। আমি নিজেও একটি ফুলের বাগান গড়ে তুলব৷
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ ফুল চাষীদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ ও সেবা প্রদান করছেন, সেই সাথে কৃষকদের ফুল চাষে উদ্ধুদ্ধ করছেন। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এজেলায় ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন লাভবান হবেন কৃষক, অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হবে।