বাঘায় আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের পৃথক দুটি মামলায় আসামী ৭৮২ গ্রেফতার ১
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাঘায় আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের পৃথক দুটি মামলায় আসামী ৭৮২ গ্রেফতার ১
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় আ’লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে এই মামলা দুটি করা হয়েছে। এই মামলায় শাওন হোসেন নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাওন হোসেন উপজেলার জোতকাদিরপুর গ্রামের খোস মোহাম্মদ খসুর ছেলে।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকরা আ’লীগের সম্মেলনের মঞ্চের সামনে আক্কাছ ভাই আক্কাছ ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় নবনির্বাচিত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
অপর দিকে বাঘা থানার পুলিশ বাদি হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এই মামলা দুটির প্রধান আসামী করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীকে।
আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আ’লীগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আথলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা (সাবেক এমপি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দুথপক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ২৮ নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এগিয়ে গেলে পুলিশের পিকআপ ভাংচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ ১৫/২০ রাউন্ড টিয়ারসেল ছোঁড়ে। ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি শান্ত হলে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে সভাপতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বিনা উস্কানীতে চলমান সমাবেশে প্রবেশ করে আক্কাছ আলী ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করেন। আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতার সামনে অনেক নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করেন। এ ঘটনায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে জেলা আ’লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, সম্মেলন আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মঞ্চের সামনে এগিয়ে যায়। আমাকে কোন সম্মান না করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লোকজন বাধা দেন। এতে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। চলে আসার পরে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আমিও আইনী ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের একটি পিকআপ গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ও আশরাফুল ইসলাম বাবুল বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাওনকে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।