বাঘার ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ রাজশাহীতে গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০৫:৫০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাঘার ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ রাজশাহীতে গ্রেপ্তার
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
বাঘার ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ রাজশাহীতে গ্রেপ্তার। রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় রাহশাহী নগর শিরোইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বাঘা থানার পুলিশ।
মরাজুল ইসলাম মেরাজ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বাড়ি ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামে। মেরাজের বাবার নাম রাকিব সরকার।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আওয়ামীলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃস্পতিবার সকালে বাস যোগে মেরাজ রাজশাহী ছাড়ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় বাঘা থানা পুলিশ নগরের শিরোইল বাস স্ট্যান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বাঘা থানার দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি বলেন, মেরাজ ছাড়াও জুবার মালিথ্য নামে সাবেক এক কাউন্সিলরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে কলিগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুবার বাঘা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনায় দিন শাওন নামের একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২১ মার্চ বাঘা শাহদৌলা সরকারী কলেজ মাঠে বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকেরা মঞ্চের সামনে আক্কাছ ভাই, আক্কাছ ভাই বলে স্লোগান দেন। এ সময় আক্কাছকে কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন তাঁর আক্কাছ লোকজন নিয়ে পেছনে যেতে বলেন। এতে আক্কাছ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কামাল হোসেনের সঙ্গে তুই সম্বোধন করে কথা বলেন। এ সময় আক্কাছসের মেয়ে এস এম কামালকে লক্ষ করে মোবাইল ছুড়ে মারে। এ সময় কামাল হোসেনও উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পযার্য়ে আক্কাছের লোকজন মঞ্চের দিকে চেয়ার ছুঁড়ে মারেন। তখন অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বাঘা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলনে হামলার জের দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে উপজেলার নারায়নপুর বাজারে ও কিশোর গ্রামে পৃথক দুইটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যজনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্যায় কমপ্লেক্য্র ভর্তি করা হয়েছে।