বাগাতিপাড়ায় টাকা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণার অভিযোগ উপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফাইমা বেগম (প্যানেল চেয়ারম্যান-০৩)কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগে ৩নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অন্যান্য ইউপি সদস্যবৃন্দ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় একটি প্রেসক্লাবের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে হাফিজুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ’৫-আগষ্ট’ সরকার পতনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান পলাতক রয়েছে। তিনি একদিনও পরিষদে না এসে ইউপি সদস্যদের সাথে কোন মিটিং না করে, এবং কারো মতামত না নিয়ে টাকার বিনিময়ে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে ভুয়া কাগজ তৈরী করে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ফাইমা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যা সম্পুর্ণ নিয়মবহির্ভূত এবং অবৈধ। তাই এটা বাতিল করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গঠনের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউপি সদস্য সুজন আলী, ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম রেজা, সংরক্ষিত ৩,৪,৫ ওয়ার্ডের নারী সদস্য রেখা বেগম ও ৬,৭,৮ ওয়ার্ডের রুমি খাতুন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফাহিমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের মৌখিক নির্দেশে আমি অফিস করছি।

বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মইনুল ইসলাম বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবর রহমান অসুস্থ থাকায় অনির্দিষ্টকালের ছুটিসহ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ৩ নম্বর প্যানেল মেম্বর ফাহিমা খাতুনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই, ইউএনও স্যার ফাহিমা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান কিছুদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটির আবেদন করেন। এ সময় তিনি মহিলা ইউপি সদস্য ফাহিমা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই ফাহিমা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনগণের দায়ভার আমার। জনগণকে দেখতে হবে এবং কাউকেনা কাউকে দিয়ে তো ইউনিয়ন পরিষদের কাজ চালাতে হবে। যা করা হয়েছে নিয়মের ভিতরেই করা হয়েছে। নিয়ম্বহির্ভূত কোনো কাজ করা হয়নি।