বাগাতিপাড়ায় ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নিলেন প্রধান শিক্ষক
- আপডেট সময় : ১২:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৭০ বার পড়া হয়েছে
বাগাতিপাড়ায় ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নিলেন প্রধান শিক্ষক
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রধান শিক্ষককে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তমালতলা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোখলেসুর রহমানকে ব্যতিক্রমী এই বিদায় দেয়া হয়। এর আগে প্রধান শিক্ষকের আনুষ্ঠানিক এই বিদায় উপলক্ষে বিদ্যালয়ের মাঠে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া মমতাজের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, বাগাতিপাড়া সদর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফাইমা খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চকগোয়াস বেগুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমান, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হায়দার রশিদ সোনা, শিক্ষক রাজিব হোসেন, ছাত্রীদের মধ্যে মাইশা, মালিহা মাহিম এবং মাহিমা খাতুন প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের শতশত বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্মৃতিচারণ শেষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রধান শিক্ষককে উপজেলা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকার চেক এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। পরে তাকে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে প্রিয় শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে করে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন।
শিক্ষক রাজিব হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে এই প্রথম কোন শিক্ষকের বিদায়। এবং তিনি প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হওয়ায় সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আশা ছিল জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় দেওয়া। তাই ঘোড়ার গাড়িতে করে ব্যতিক্রমী এই বিদায়ের আয়োজন করা হয়।
বিদায়ী প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোখলেসুর রহমান বলেন, বড় কষ্টের সময় হলেও আজ আমার অনেক ভালো লাগছে। ১৯৯৪ সালে মাত্র তিনজন ছাত্রী নিয়ে শুরু করে আজকে প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকেই আজকে দেশের বড়ো জায়গায় কর্মরত রয়েছে। শেষে তিনি কান্না জনিত কন্ঠে বাকি জীবনের জন্য সকলের নিকট দোয়া চান এবং তার মৃত্যুর পর এই বিদ্যালয় মাঠে যেনো জানাজা পড়ানোর আহ্বান জানান।