বাগাতিপাড়ায় আটকে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ!

- আপডেট সময় : ১০:৫২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাগাতিপাড়ায় আটকে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ!
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ সাত বছর পূর্বে বরাদ্দ হওয়ায় পুরাতন রেটের কারনে আটকে আছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মানকাজ। একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও নানা কারনে তা বাতিল হওয়ায় কাজটিতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারনে পুরোনো রেটের এসব কাজে ঠিকাদারদেরও রয়েছে অনাগ্রহ। আগের ব্যয়মূল্য ৮৫ লক্ষ টাকা থাকলেও এখন নতুন ভবনে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে। নতুন রেটের সাথে সমন্বয় করা না হলে দরপত্র আহ্বান করলেও ঠিকাদার পাওয়া নিয়েও শংকা রয়েছে। দীর্ঘদিনেও একাডেমিক ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহন থেকে বি ত হচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে গত ২০১৮ সালে উপজেলার তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ পায়। সেসময় ওই সালের ২৮ অক্টোবর নির্মানকাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনের তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ হিসেবে বরাদ্দ থাকার কারনে সেই বরাদ্দ বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২০২০ সালের ৩০ জুন নাটোর জেলায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ। সেই তালিকার ৩ নম্বরে নাম থাকলেও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ হলেও তকিনগর আইডিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন নির্মাণের কাজটি হয়নি। সেসময় নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা, নকশা ও জায়গা নির্ধারনও করা হয়। পরে ই-টেন্ডার জটিলতায় টেন্ডার বাতিল হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে আবারো ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটির ঠিকাদারও নিয়োগ হয়। কিন্তু সে কাজটিও বাতিল হয়। তবে কি কারনে তা বাতিল হয়, তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার এসএম সুলতান মাহমুদ বলেন, সেসময় তিনি কাজটির অনুমোদন না পেয়ে কাজটি করতে পারেননি। পরে কাজটি বাতিল হয়। তবে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারনে পুরোনো রেটের এসব কাজগুলো নতুন রেটে বরাদ্দ না হলে হয়তো কোন ঠিকাদারই কাজগুলো করবে না।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে দীর্ঘ সাত বছরেও তার প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হয়নি। এতে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উন্নত পরিবেশে শিক্ষা গ্রহন থেকে বি ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাটোরের শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন কারনে প্রতিষ্ঠানটির ভবন নির্মাণকাজ ইতোপূর্বে বাতিল হয়েছে। তবে পুরো জেলায় পুরোনো রেটের এমন ৫টি ভবনসহ সারা দেশে ৩৫০টি ভবন নির্মাণ ঝুলে রয়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারনে এসব ভবন নির্মাণে নতুন রেটে বরাদ্দ পাস হলে এগুলোর কাজ করা হবে।