ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান বিভিন্ন দাবিতে নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের ফটক সভা রাণীনগরে ব্যবসায়ীর দুই গোডাউন থেকে চাল উদ্ধারের ঘটনায় মামলা পঞ্চগড়ে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার পঞ্চগড়ে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস পালিত মান্দায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে এক মণ গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা ধামইরহাট চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে হঠাৎ কোটিপতি হওয়া ওয়ার্ড আ’লীগ নেতার দাপটে তটস্থ স্থানীয়রা

বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
চ্যানেল এ নিউজ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে

এম এম  মামুন, রাজশাহী ব্যুরো: বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে। রাজশাহীর বাগমারায় ঘরে মায়ের লাশ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণ করছিলেন বড় ছেলে ও তার স্ত্রী। আর বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে সে ঘরের ভেতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ছেলে ও তার স্ত্রী পলাতক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তারা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেয় মাকে। শাহিদা অন্য স্বজনদের সহযোগিতায় কোনো রকমে দিনযাপন করছিলেন। বুধবার রাতে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা।
সকালে হামিদুল ও আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিল। দুপুর পর্যন্ত মা শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বাভাবিক কথা বলে। পরে মায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকে তার লাশ দেখতে পায় বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
বিরল হোসেন বলেন, তার মাকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, তার শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও আকলিমা মিলে তাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পলাতক।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে

আপডেট সময় : ০৭:০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০২২

বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে

এম এম  মামুন, রাজশাহী ব্যুরো: বাগমারায় মা’র লাশ ঘরে রেখে স্বাভাবিক ছিল বড় ছেলে। রাজশাহীর বাগমারায় ঘরে মায়ের লাশ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণ করছিলেন বড় ছেলে ও তার স্ত্রী। আর বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে সে ঘরের ভেতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ছেলে ও তার স্ত্রী পলাতক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তারা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেয় মাকে। শাহিদা অন্য স্বজনদের সহযোগিতায় কোনো রকমে দিনযাপন করছিলেন। বুধবার রাতে হামিদুল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা।
সকালে হামিদুল ও আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিল। দুপুর পর্যন্ত মা শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বাভাবিক কথা বলে। পরে মায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকে তার লাশ দেখতে পায় বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
বিরল হোসেন বলেন, তার মাকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, তার শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও আকলিমা মিলে তাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পলাতক।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।