বাগমারার স্কুল কক্ষে ১৬ বছর ধরে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক
- আপডেট সময় : ১০:০৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২ ৪২ বার পড়া হয়েছে
বাগমারার স্কুল কক্ষে ১৬ বছর ধরে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক
এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো:
বাগমারার স্কুল কক্ষে ১৬ বছর ধরে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক। রাজশাহীর বাগমারায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ভাড়া নিয়ে একটানা ১৬ বছর ধরে চলছে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম। কক্ষটি ভাড়া দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি এলাকার স্বার্থে ও প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সাল থেকে উপজেলার শেরকোল শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ গ্রামীণ ব্যাংক (এনজিও) সোনাডাঙ্গা শাখাকে ভাড়া দেওয়া হয়। ভাড়া নেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোহার গ্রিল দিয়ে বড় আকৃতির কক্ষটি ঘিরে নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক এই কক্ষের প্রতিমাসে মাসিক ভাড়া ৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে থাকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বিদ্যালয়ের কক্ষ সংকুলান না হওয়ার কারণে গত ২০১৫ সালে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আরেকটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩৭৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষা ও গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। ভবনের দেয়ালে বড় অক্ষরে গ্রামীণ ব্যাংক, সোনাডাঙ্গা শাখা লেখা রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের অফিস কক্ষের পাশের কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এছাড়া ব্যাংকে ঋণ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম চলার দৃশ্য চোখে পড়ে। নারীরা ব্যাংকে এসে ঋণ কার্যক্রম সেরে চলে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাদের শ্রেণিকক্ষের পাশে গ্রামীণ ব্যাংক থাকায় পাঠদানে সমস্যাসহ বিভিন্ন রকম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের।
স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলা বেমানান। আশপাশে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদের সন্তানদের এখানেই পড়াতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক সোনাডাঙ্গা শাখার ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় কর্মকর্তা জামিলুর রহমান বলেন, আমরা ভাড়া বাবদ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে মাসিক ছয় হাজার টাকা পরিশোধ করি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কক্ষটিতে ব্যাংক্রম চলছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবুল কালাম আজাদ কক্ষ ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকার লোকজনের দাবি ও পরামর্শে একটি বড় কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভাড়া নেওয়া কক্ষ ঘিরে নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয় না। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ভাড়ার টাকা প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যয় করা হয়।
বাগমারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মাহমুদ হাসান বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এভাবে কক্ষ ভাড়া দিতে পারেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলে করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।